ওসমানীনগরের শিপনের জবানবন্দি : জুনেদ খুনের নেপথ্যে ছিনতাই
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের চৌহাট্টায় ছিনতাইয়ের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে খুন হয়েছেন বানিয়াচংয়ের জুনেদ আলী। লাশ উদ্ধারের প্রায় দুই সপ্তাহ পর সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত করেছে। পুলিশ জানায়, টাকার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে শিপন, জয়নাল ও বাবু খুন করে জুনেদ আলীকে। গত ১৮ই আগস্ট দিবাগত রাতে নগরীর চৌহাট্টস্থ আলিয়া মাদরাসার দক্ষিণ পাশের গেইটের সামনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের সিন্দরপুর গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে জুনেদ আলীকে। ১৯শে আগস্ট হামদু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কে বা কারা, কেন জুনেদকে হত্যা করে- এ নিয়ে পুলিশ ছিল অন্ধকারে। প্রায় দুই সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওসমানীনগরের কাঁঠালখাই গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া (১৮), নগরীর কুয়ারপাড়ের নুর মিয়ার ছেলে জয়নাল আহমদ (২৮) এবং লালদিঘীরপাড়ের শফিক মিয়ার ছেলে বাবু মিয়াকে (১৫) আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে শিপন সিলেট নগরীর মজুমদারপাড়ারস্থ মিন্টন মিয়ার কলোনিতে বসবাস করতো। কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুল হুদা আশরাফী ও এসআই খোকন দাসের নেতৃত্বে জুনেদ আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করা হয়। কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুল হুদা আশরাফী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আটককৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জুনেদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে শিপন। ছুরিকাঘাতে জুনেদ আলীকে হত্যা করা হয় বলে স্বীকার করে সে। এ কাজে জয়নাল ও বাবু তাকে (শিপন) সহায়তা করে বলেও জানায় সে। পরবর্তীতে আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে এরা।