তাজুল হত্যা: পিতার প্রান রক্ষায় কন্যার আর্তনাদ, তবুও এগিয়ে আসেনি কেউ
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০১৬, ১:০৪ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: কেউ এগিয়ে আসেননি তাজুলের প্রাণ রক্ষায়। কেউ শুনেনি দশ বছরের শিশু কন্যার করুণ আর্তনাদ। বাবাকে বাঁচাতে পথচারীদের কাছে মেয়ের আকুতি কারো কানেই পৌছায়নি। সবাই দৃশ্য অবলোকনে ব্যস্ত। কেউই এগিয়ে আসার সাহসটুকু দেখাননি।
‘আঙ্কেল আমার বাবারে বাঁচান, হাসপাতালে নিয়ে যান’- দশ বছরের শিশু কন্যা স্বর্ণা পথচারীদের সহযোগিতায় এমন আর্তনাদ করছিল।
এমনটি জানালেন খুলিয়াটুলা এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমদ। তখন বন্দরবাজার থেকে বাসায় যাচ্ছিলেন উল্লেখ করে সোহেল বলেন, রাস্তায় তাজুল কাতরাচ্ছিলেন। পাশে বসে বাবার মুখে পান ঢালছিল তাজুলের শিশু মেয়ে স্বর্ণা। বাবাকে বাঁচাতে আশপাশের লোকজনের সহায়তা চায় স্বর্ণা। কিন্ত কেউ ছুটে আসেনি। এমতাবস্খায় তিনি এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাজুলকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রক্তে তার শরীরও ভিজে যায়। তাজুলের বড় ভাই নূরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা তার ছোট ছেলে সোহান ইসলামকেও কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহত তাজুল ইসলাম সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর স্বামী।