হবিগঞ্জের চা বাগানের শ্রমিকদের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০১৬, ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
১৩ সপ্তাহ যাবত হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের বৈকন্ঠপুর চা-বাগানের চা-শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে, চিকিৎসাসেবা, রেশনসহ অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন চা-শ্রমিকরা। এমনকী ২৪ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা চা-বাগান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে এই চা-বাগানের চা-শ্রমিকদের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও অভাব-অনটন। চা শ্রমিকরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।
গত ৬ মাস ধরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় অসুখ-পীড়ায় ভুগছে চা-শ্রমিকরা। চা-বাগান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিক্রয়কৃত বালি অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে উত্তোলন করার ফলে এই চা-বাগানের অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকেও চরম দুর্ভোগে আছে চা-শ্রমিকরা।
গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন, উপ-শ্রম অধিদপ্তর (ডিডিএল) ও মালিকপক্ষের ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে বৈকণ্ঠপুর চা-বাগানের মালিক প্রদীপ মুখার্জি ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে চা-বাগানের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য লিখিতভাবে অঙ্গীকার করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমাধান হয়নি। ফলে নিরুপায় হয়ে হাজার হাজার শ্রমিক আন্দোলনে রয়েছেন।
বৈকণ্ঠপুর চা-বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মনিব কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক বীরেন কালেন্দী জানান- আজ শনিবার (০৬ আগস্ট) মাধবপুর উপজেলা পরিষদে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করার পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তারা জানান- তাদের দাবি হল, অবিলম্বে শ্রমিকদের ১২ সপ্তাহের বেতন প্রদান, ৬ মাস যাবৎ বন্ধ বাগানের হাসপাতাল চালু, ভবিষ্যৎ তহবিলের আত্মসাৎকৃত ২০ মাসের টাকা ফেরত, ৯৭ লাখ টাকা দিয়ে অবৈধ ইজারার মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ করা।