মিতা, মেরি, জয় নাফিযরা জিতলে বাংলাদেশ জিতবে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০২০, ২:৪৫ অপরাহ্ণ
আহবাব চৌধুরী খোকন:
নিঃসন্দেহে এটা আমাদের সকলের জন্য খুব আনন্দের সংবাদ যে যুক্তরাষ্ট্রে মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমাদের নতুন প্রজন্ম এখন এগিয়ে আসছে। নিউজার্সি, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়ার পর এখন নিউইয়র্ক স্টেটে আমাদের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নতুন প্রজন্ম অন্যান্য কমিউনিটির সাথে সমান্তরালে পাল্লা দিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে । কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার থেকে শুরু করে এখন সিটি কাউন্সিলম্যান, ত্রসেম্বলীম্যান এমনকি কংগ্রেসনাল পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস দেখাচ্ছে আমাদের প্রার্থীরা ।সম্প্রতি পেনসিলবেনিয়া স্টেটে অনুষ্ঠিত প্রাইমারী নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশদ্ভূত ডঃ নিনা আহমদ বিপুল ভোটের ব্যবধানে অডিটর জেনারেল নির্বাচিত হয়ে ডেমক্রেটিক পার্টি থেকে তাঁর নমিনেশন নিশ্চিত করেছেন ।যুক্তরাষ্ট্রের কোন নির্বাচনে এবারই প্রথম বাংলাদেশী কোন প্রার্থী বড় কোন পদে নির্বাচন করার সুযোগ পেলেন।তবে এক সময় মিশিগান থেকে হানসেন ক্লার্ক নামের একজন কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ।ক্লার্কের বাবা জন্ম সূত্রে ছিলেন সিলেট জেলার অধিবাসী ছিলেন ।
আগামী কাল মঙ্গলবার ২৩শে জুন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মূলধারার প্রাইমারী নির্বাচন ।এই নির্বাচন আমাদের কমিউনিটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।কারণ এবারই প্রথম আমাদের কমিউনিটি থেকে একঝাক তরুন
ও যোগ্য প্রার্থী মূলধারার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ।তাদের মধ্যে অনেকেই তাদের মেধা ও যোগ্যতায় নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উটে এসেছেন । প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছেন নিউইয়র্ক কনগ্রেসনাল ডিসটিক্ট ১৪ থেকে হাউস অব রিপ্রেজেনটিটিভ পদে বদরুন নাহার খান মিতা , এনওয়াইএস এসেম্বলী ডিসটিক্ট ৩৭ থেকে এসেম্বলী ওমেন পদে মেরি জোবায়দা , এনওয়াই এস এসেম্বলী ডিসটিক্ট ৩৪ থেকে এসেম্বলীম্যান পদে জয় চৌধুরী এবং ডিসটিক্ট লিটার পদে ব্রঙ্কসে ডিসটিক্ট ৮৭ থেকে মোহাম্মদ এন মজুমদার , ব্রুকলেইনে এসেম্বলী ডিসটিক্ট ৫৪ থেকে নাফিয আই চৌধুরী এবং কুইন্সে এসেম্বলী ডিসটিক্ট ২৪ থেকে মৌমিতা আহমদ ।
এক নির্বাচনী জরিপে জানা গেছে এসেম্বলীতে মেরি জুবায়দা ও জয় চৌধুরী খুব ভালো অবস্থানে আছেন ।এই দুই তরুন প্রার্থী ইতিমধ্যে বাংলাদেশী ভোটারদের পাশাপাশি অন্যান্য সংখ্যালগু কমিউনিটির ও ব্যাপক সংখ্যক ভোট টানতে সক্ষম হচ্ছেন ।মেরি জুবায়দা এবং জয় চৌধুরী দুজনই খুব দক্ষ এবং যোগ্যতম প্রার্থী।তারা দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রে কৃতিত্বের সাথে তাদের শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করে দীর্ঘ দিন যাবৎ মূলধারার রাজনীতিতে কাজ করে আসছেন ।মেরি জুবায়দা ইতিমধ্যে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার নির্বাচনী এজেন্ডা পৌছে দিয়েছেন ভোটারদের নিকট ।বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকেই ফোন করে এবং বাড়ী বাড়ী ফ্লায়ার বিতরনের মাধ্যমে মেরির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
একই ভাবে জয় চৌধুরীর পক্ষেও অনেককে এভাবে কাজ করতে দেখা গেছে ।অন্যদিকে বদরুন নাহার খান মিতা গত প্রায় কয়েক মাস যাবৎ লাগাতর ক্যাম্পেইনের কারণে উটে এসেছেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ।বিভিন্ন কারণে এই এলাকার বর্তমান কংগ্রেসওমেন মিস ওয়াকাসিও আলেকজান্ডারিয়া বিতর্কিত হয়ে পড়ায় এই নির্বাচনে বদরুন খানের জয়ের ব্যাপারে অনেকেই আশাবাদী হয়েছেন ।
বলার অপেক্ষা রাখেনা এই নির্বাচন আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।গত কয়েক বছরে আমাদের নতুন প্রজন্ম যুক্তরাষ্ট্রে ভাল অবস্থান করতে সক্ষম হলেও কেবলমাত্র নেতৃবৃন্দের অভাবে আমরা অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি ।আমাদের কমিউনিটিতে অনেক সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে ।তাই আমাদের এই সকল প্রর্থীদের এলাকায় বাংলাদেশী কমিউনিটির যে সকল ভোট রয়েছে তার শতভাগ ভোট প্রয়োগ করতে হবে ।একটিও ভোট নষ্ট করা যাবে না ।
আমাদের প্রার্থীরা সাহস করে এতদুর এগিয়ে এসেছে ।আমাদের একটু সমর্থন ও কষ্ট তাদের বিজয়কে শুধু নিশ্চিত করবে না আমাদের দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা সমাধানের একটি নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে ।আমাদের অবহেলায় কোন ভোট যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সকলকে খেয়াল রাখা উচিত ।মনে রাখতে হবে মিতা, মেরি,জয় ,নাফিযরা জিতলে বাংলাদেশ জিতবে ।