ব্রিটেনে কুলসুমা হত্যা : সিলেটে শিউলির পরিবারের কান্না থামছেনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ৭:১২ অপরাহ্ণ
জুবায়ের আহমেদ, লন্ডন:
ব্রিটেনের ব্রাডফোর্ড শহরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে নিহত সিলেটের বিশ্বনাথের শিংগেরকাছ গ্রামে কুলসুমা আক্তার শিউলীর গ্রামের বাড়ীতে আহাজারি থামছেনা। শিউলীর মা মনোয়ারা বেগম মেয়ে হত্যার উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে যেভাবে হত্যা করে আমার বুক খালি করা হয়েছে সেভাবে যেন আর কোন মায়ের বুক খালি না হয়। আমি আমার কলিজার টুকরা হত্যার বিচার চাই।
গত মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) হাবিবুর রহমান মাসুমকে (২৫) গ্রেপ্তারের পর জেলে প্রেরণ ইয়র্কশায়ার পুলিশ। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছে। স্ত্রী শিউলীকে (২৭) প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর থেকে হাবিবুর রহমান পলাতক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়।
যুক্তরাজ্যের ওল্ডহামে বসবাসরত নিহত শিউলীর ভাই আক্তার হোসেন সোমবার অভিযোগ করেছেন, গত শনিবার লন্ডন সময় বিকেলে তার বোনকে ছুরি দিয়ে নিজের ৫ মাস বয়সী শিশুপুত্রের সামনেই গুরুতর আঘাত করেন হাবিবুর রহমান মাসুম। পরে শিউলী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মাসুম পলাতক ছিলেন। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, মাসুম ও শিউলী দম্পতি দুই বছর আগে সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে যুক্তরাজ্যে আসেন। মাসুম আসেন স্টুডেন্ট ভিসায় আর স্ত্রী শিউলী আসেন মাসুমের ডিপেন্ডেন্ট হিসেবে। শুরুতে ওল্ডহাম এলাকায় থাকতেন এ দম্পতি। তাদের পারিবারিক কলহ শুরু হলে এক পর্যায়ে তা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
পরে পুলিশ শিউলীকে স্যোশাল সার্ভিসের মাধ্যমে নিজেদের বসবাসস্থল থেকে সরিয়ে ব্রাডফোর্ডে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করে। কিন্তু স্বামী মাসুম পুলিশের নিষেধ না মেনে শিউলীর গতিবিধি নজরদারি শুরু করেন। ঘটনার দিন ইফতারের আগে শিউলী তার শিশুপুত্রকে নিয়ে খাবার কিনতে বের হন। এ সময় আগে থেকে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা মাসুম শিউলীকে ধারালো ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেন।
নিহত শিউলীর ভাই আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, শিউলীর ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পেলে জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।