স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ায় নির্যাতন, বসনিয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সিলেটি যুবক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০২০, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ায় দফায় দফায় পুলিশি নির্যাতনে আহত সিলেটের হবিগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ক্রোয়েশিয়ায় নির্যাতিত হলেও তিনি চিকিৎসাধীন আছেন বসনিয়ার একটি হাসপাতালে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা রাসেদুজ্জামান রুয়েল ওরফে রসি (৩০) শহরতলীর সুলতানমাহমুদপুর গ্রামের ভিংরাজ মিয়ার ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। এ দিকে তাকে নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে রোববার অস্ট্রিয়ার নাগরিকরা আন্দোলনে নেমেছেন।
ওই ছাত্রলীগ নেতার চাচাত ভাই মোতাহের হোসেন রিজু জানান, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে প্রায় আড়াই বছর পূর্বে স্বজনদের সহযোগিতায় তুরস্ক যান। উদ্দেশ্য স্বপ্নের দেশ ইতালিতে পাড়ি জমানো। সেখানে ১ বছর থেকে চলে যান গ্রিসে। বেশ ভালোই ছিলেন সেখানে। সম্প্রতি তিনি ইতালি পাড়ি জমাতে রওয়ানা হন স্লোভেনিয়া সীমান্ত দিয়ে। কিন্তু বিধিবাম। ১২ জুন সেখানেই তিনি পুলিশের হাতে ধরা পরেন। পুলিশ অমানবিক নির্যাতন শেষে তাকে সোপর্দ করে ক্রোয়েশিয়া পুলিশের নিকট। সেখানেও আরেক দফা নির্যাতনের শিকার হন। বর্তমানে তিনি বসনিয়ায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী জানান, রসি তার কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি পরিবারের সচ্ছলতা ফিরাতে বিদেশে পারি জমিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এটি অমানবিক।
আহত রসির ছোট ভাই রাসেদুজ্জামান রকি জানান, গত ২৭ মে রসিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক ৬০ জন বসনিয়া থেকে রওয়ানা হন। তাদের মাঝে ৮ জন স্লোভেনিয়া সীমান্তে ঢুকে পড়েন। সেখানেই তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। অন্যরা ফিরে আসতে সক্ষম হন। দালালের সঙ্গে চুক্তি ছিল ইতালি পৌঁছে দিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়ার। এর মাঝে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল।
রাসেদুজ্জামান রকি জানান, সর্বশেষ ৪/৫ দিন আগে বেশ কয়েকজন ফোন করে জানান, তার ভাই পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ইতিমধ্যে রসিও ফোন করেন। তিনি শুধু বলেন মাকে বল আমি ভালো আছি। নির্যাতন ও অসুস্থতার বিষয়ে কিছুই বলেননি। কিন্তু তিনি অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন তার ভাই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। অস্ট্রিয়ায় আন্দোলনের খবরও তিনি ফেসবুক ও অন্যদের মাধ্যমে জেনেছেন।