জুড়ীতে ফোন পেয়ে রিকশা চালকের বাড়ীতে খাবার পৌঁছে দিলেন ওসি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ এপ্রিল ২০২০, ৮:৩০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের পূর্ব বেলাগাঁও গ্রামের এক রিকশা চালকের বাড়ীতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন ওসি।
গত শনিবার রাতে এক রিকশা চালক ঘরের খাবারও ফুরিয়ে গেছে এই মর্মে জুড়ী থানায় কল দিয়ে তার সমস্যার কথা বললে কিছু সময় পর ওসি তাঁদের জন্য খাবার নিয়ে যান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বেলাগাঁওয়ের বাসিন্দা সফর আলী, জালাল উদ্দিন, কিছমত মিয়াসহ আরও কয়েক জন ভাড়ায় রিকশা চালান। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের রিকশা চালানো বন্ধ করে বাড়িতে থাকতে বলা হয়। এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন।
গতকাল রাত আটটার দিকে সফর আলী জুড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারকে ফোন দিয়ে বলেন, ঘরে চাল-ডাল নেই। এখনো কোনো ত্রাণ পাননি। পরে নাম-ঠিকানা জেনে ওসি তাঁর বাড়িতে খাবারসামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে যান। এ সময় আশপাশের আরও ১০-১২ জন রিকশাচালক ছুটে আসেন। তাঁদেরও খাবারসামগ্রীর প্যাকেট দেওয়া হয়। একপর্যায়ে প্যাকেট ফুরিয়ে গেলে স্থানীয় একটি দোকান থেকে খাবারসামগ্রী কিনে দেন ওসি। এ সময় ওসির সঙ্গে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলামসহ তিন-চার জন পুলিশ সদস্য ছিলেন।
সফর আলী আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন, ‘রিকশা বন্ধ থাকার কারণে আয় বন্ধ। পরিবারে পাঁচ জন মানুষ। খাইবার কিচ্ছু ছিল না। পুলিশরে সবাই তো ভয় করে। এর লাগি ভয়ে ভয়ে থানার সরকারি নম্বরে ফোন দিলাম। স্যার (ওসি) বললেন, বাড়ি থাকো, আসছি। তারপর দেখি স্যার খাবার নিয়ে আমার বাড়িতে উপস্থিত।
ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, খেটে খাওয়া মানুষেরাই এ সময়টাতে খুব কষ্টে আছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তাঁদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। প্রতি দিনই কেউ না কেউ ফোন দিয়ে কষ্টের কথা বলছেন। সাধ্যমতো তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।