ধর্মপাশায় বাঁধের কাজে ধীরগতিতে ছয় পিআইসির সাজা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ধীরগতি ও গাফিলতির কারণে ছয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতিকে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.আবু তালেব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত প্রকল্প সভাপতির মধ্যে দুজনকে ৩ দিন করে বিনাশ্রম করাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া চারজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সূত্র জানায়, সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনারথাল হাওরের ১২৭ নম্বর প্রকল্প কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক, ১২৯ নম্বর প্রকল্প কমিটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম, ১৩১ নম্বর প্রকল্প কমিটির সভাপতি বখতিয়ার আমিন, ১৩৮ নম্বর প্রকল্প সভাপতি আতাউর রহমান, জয়ধনা হাওরের ৬৫ নম্বর প্রকল্প কমিটির সভাপতি শাহজামাল ও গুরমা হাওরের বর্ধিতাংশের ১১০ নম্বর প্রকল্প সভাপতি লেলিন সরকার। আব্দুল খালেক ও সাইদুল ইসলামকে ৩ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদের কাছে থেকে জরিমানার ৫ হাজার টাকা আদায়ের পাশাপাশি মুচলেকা নেয়া হয়। সাত দিনের মধ্যে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করা হবে মর্মে তারা মুচলেকা দিয়ে তারা মুক্তি পান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার প্রায় সব হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের ৭৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অথচ চন্দ্র সোনারথাল হাওরের ১২৭ নম্বর, ১২৯ নম্বর, ১৩১ নম্বর, ১৩৮ নম্বর, জয়াধনা হাওরের ৬৫ নম্বর ও গুরমার হাওরের বর্ধিতাংশের ১১০ নম্বর প্রকল্পের সভাপতিরা গাফিলতি করায় কাজের অগ্রগতি প্রায় ৪২ শতাংশ। এ বিষয়ে উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে তাগিদ দেয়া হলেও তারা শোনেননি। যার ভিত্তিতে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেসব প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের ধর্মপাশা উপজেলা কমিটির আহবায়ক সুলতান মজুমদার বলেন, ‘বাঁধ মেরামত কাজের কমিটি গঠন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি বিষয়ে অনিয়ম ও গাফিলতি রয়েছে। কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কারণেই হাওরের বাঁধ মেরামতে বিলম্ব হচ্ছে। এ মাসেই বাঁধ মেরামত কাজের সময়সীমা শেষ হবে।’
উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু তালেব বলেন,’বাঁধের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’