সন্ধ্যা নামলেই মৌলভীবাজারের মনু সেতুতে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ৯:০৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
মৌলভীবাজারের সদর থানার চাঁদনীঘাটের মনু সেতুতে সন্ধ্যা নামলেই ভুতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যারাতে তবু কিছুটা স্বস্তি থাকে, চলমান যানবাহনের আলো থাকায়। সেতুর ওপর বসা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের চার্জার বাতি। কোনোমতে পথ দেখে সামনে এগোতে পারে পথচারীরা। রাত বাড়ার পর তৈরি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ। অন্ধকারেই পথ হাতড়ে চলতে হয় সবাইকে। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুতে সড়কবাতি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ভোগান্তিতে পড়ে পথচারীরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার শহরের উত্তর পাশে মনু নদের ওপর চাঁদনীঘাটে মনু সেতুর অবস্থান। পুরোনো সেতুটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিধ্বস্ত হয়েছিল। বর্তমান সেতুটি নতুন। এই সেতু দিয়ে জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর এবং সদর উপজেলার উত্তরাংশের মানুষ মৌলভীবাজার জেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন। এই সেতু দিয়ে গেছে ঢাকা-মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক। জেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় হাজারো যানবাহন চলাচল করে। দিনের বেলায় সেতুর অনেকটাজুড়ে থাকে মৌসুমি ফল ও মসলার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের ভ্যানগাড়ি। এতে সময়-অসময়ে সৃষ্টি হয় কৃত্রিম যানজটের।
দিনের বেলায় তবু যেমন-তেমন, সন্ধ্যা হলেই সেতুটি অন্ধকারে ডুবতে থাকে। সেতুর দুই পাশেই অনেকগুলো সড়কবাতির খুঁটি ও বাতি লাগানো আছে। কিন্তু তা জ্বলে না। রাত বাড়তে থাকলে সেতুজুড়ে এক ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। শুধু যানবাহনের আলোয় সেতুটি কিছুটা দৃশ্যমান হয়। পথচারীরা এক ভুতুড়ে আলোছায়ার মধ্য দিয়ে সেতুতে চলাচল করে। রাতে নারী, শিশুসহ সব মানুষ অন্ধকারে সেতু পার হতে ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। মাঝেমধ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর শহরতলির অনেক মানুষ হেঁটে শহরে বাজার-সওদাসহ পারিবারিক অনেক কাজ সারতে আসে। কাজ শেষে একই সেতু দিয়ে তারা ফিরে যায়। জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মনু সেতুর বাতির বিষয়টি দেখত। এখন পৌরসভা দেখে। তবে দীর্ঘদিন ধরে সেতুতে বাতি জ্বলে না। লাইনে সমস্যা। সম্ভবত মাদকাসক্তরা বিদ্যুৎ লাইনের তার কেটে নিয়েছে। শিগগিরই আমরা তার ঠিক করে ওই সেতুতে স্ট্রিট লাইট দিয়ে দেব।