কমলগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, ২৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুলাই ২০১৯, ৩:১১ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরোও অবনতি হয়েছে। গত রোববার বিকেলে আদমপুর ইউনিয়নের হকতিয়ারখোলা ও রহিমপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধে ও রাতে কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা গ্রামেরসহ ৪ টি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ২৫টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। লাঘাটা ও ক্ষিন্নী ছড়ার পানিও দ্রæত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার নতুন-নতুন এলাক প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গত রোববার রাত ৮টায় বর্তমানে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৫৮ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী। পানি বৃদ্ধি পেলে যেকোন সময় বড় ধরনের বন্যার আশংকা করছেন সাধারন মানুষ। কমলগঞ্জ পৌরসভা, রহিমপুর ও পতনঊষার ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
ধলাই নদীর পানি বেড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধে নতুন ও পুরাতন ভাঙ্গন দিয়ে ২৫টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বন্যার খবর শুনে সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সদস্য, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুনুুর রশীদ, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এদিকে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ কমলগঞ্জ পৌর এলাকা ও রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল নিজ ইউনিয়নের বন্যাক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। অপরদিকে বৃষ্টি হলে আরো কয়েকটি ঝুকিপুর্ণ স্থানে ভাঙ্গনের আশংকা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২ মে.টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন জানান, রোববার বিকেলে হকতিয়ারখোলা শিক্ষক অরুন কুমার সিংহের বাড়ির কাছে ধলাই নদীতে প্রায় ৩০ ফুট পরিমান ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙ্গনের ফলে হকতিয়ারখোলা, কেওয়ালীঘাট, জালালপুর, বন্দরগাঁও গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া ঘোড়ামারা গ্রামে পুরোনো ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে।