মৌলভীবাজারে ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মে ২০১৯, ৭:২৩ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
ধানে ন্যায্য মূল্যের দাবিতে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার দুপুরে মানববন্ধন হয়েছে। হাওর বাঁচাও,কৃষক বাঁচাও,কৃষি বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ ও জেলা বন্যা প্রতিরক্ষায় প্রেসার গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে ঘন্টা ব্যাপী চলা ওই মানবন্ধন ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন হাওর বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও, কৃষি বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সিরাজ উদ্দিন বাদশা।
মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী মো: আশরাফ আলীর পরিচালনায় মানববন্ধন ও পথ সভায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা বন্যা প্রতিরক্ষায় প্রেসার গ্রুপের সভাপতি সাংবাদিক বকশী ইকবাল আহমদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ডা: ছদিক আহমদ, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন,মৌলভীবাজার জেলা বন্যা প্রতিরক্ষায় প্রেসার গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ইমাদ উদ দীন, হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা খানম,হাওর বাঁচাও,কৃষক বাঁচাও,কৃষি বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ কুলাউড়া উপজেলা সভাপিত প্রভাষক মোতাহার হোসেন,ইম্পিরিয়াল কলেজের প্রভাষক সিতাব আলী,সাহেদ আলী,সাংবাদিক হোসাইন আহমদ,কৃষক জমির মিয়া,কৃষক পরিবারের সন্তান মোস্তাকিন মিয়া,জাতীয় ছাত্র সমাজ মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি আবদাল হোসাইন প্রমুখ।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কৃষক উৎপাদন করেন ধান অথচ তারা হয় চরম ক্ষতিগ্রস্থ আর মিল মালিক বা ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা হয় লাভবান। এই পদ্ধতি আমাদের অবাক করে। এক মণ ধান ঘরে তোলতে খরচ পড়ে ৬৫০-৭০০ টাকা। আর এখন মণপ্রতি ধান বিক্রি হচ্ছে ৫ শত টাকা। এমনটি চলতে পারেনা। বক্তারা বলেন এ ধারা অব্যাহত থাকলে কৃষি ব্যবস্থা ও কৃষি পণ্য উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হবে। তাই কৃষক ও কৃষি বাঁচাতে ধানের ন্যায্য মূল্য ও সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার আহবান জানান। তাছাড়া ভরাট হয়ে যাওয়া জেলার নদী ও হাওর খনেনর উদ্যোগ গ্রহন করে বন্যা ও খরার হাত থেকে কৃষি পণ্য উৎপাদন রক্ষায় এগিয়ে আসার জোর দাবি জানান। আসন্ন জাতীয় বাজেটে কৃষকদের কল্যাণে কৃষি খাতে ১ হাজার টাকা বরাদ্ধেরও দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন ও পথসভায় সরকারের কাছে কৃষকদের ১৩ টি দাবি তোলে ধরা হয়। পবিত্র মাহে রমজানে প্রচন্ড রোদ অপেক্ষা করে কৃষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে মানববন্ধনে কৃষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।