জগন্নাথপুরে বিভিন্ন হাওরে বিষাক্ত গ্যাস, চুন ও ঔষধ প্রয়োগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০১৭, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের বিভিন্ন হাওরে ধান পচে পানিতে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মরে যাচ্ছে মাছ। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) মৎস্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নলুয়া, মইয়ার, পিংলার হাওর ও নলজুর নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন হাওর পরিদর্শন করে চুন ও ঔষধ প্রয়োগ করেছেন।
কৃষি ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৩ দিন ধরে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাওরসহ জগন্নাথপুরের বিভিন্ন হাওরের ধান পঁচে এমোনিয়া গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে। এই গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫.২৫ মেট্রিক টন বিভিন্ন জাতের মাছ মরে গেছে। এমন অবস্থা মঙ্গলবারও দেখা গেছে। হাওরের পানি ঘন থাকায় মাছ অক্সিজেন পাচ্ছে না। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মাছ মরে যাচ্ছে। তাই মাছ সংরক্ষনের স্বার্থে মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাওরে চুন ও ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে।
হাওর পরিদর্শন এবং চুন ও ঔষধ প্রয়োগকালে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোশায়েফ হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শংকর রঞ্জন দাস, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আবরার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ।
এখন বৃষ্টি হলে এসব সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে বলে জানিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আবরার বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে চুন ও ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জগন্নাথপুরে অকাল বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে উপজেলার নলুয়া, মইয়ার ও পিংলার হাওরসহ ছোট বড় সবকয়টি হাওরের বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে ধান পচে দূর্গন্ধ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এতে এমোনিয়া নামক বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়ে হাওরের মাছগুলো গত রোববার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকেই মরে ভেসে উঠেছিল। এসব মাছ না খাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং সহ প্রশাসনের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে সতর্কীকরণ বার্তা প্রদান করা হয়।