বালাগঞ্জে পল্লীবিদ্যুতের ভুতুরে বিল
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জানুয়ারি ২০১৭, ৭:৪১ অপরাহ্ণ
শামীম আহমেদঃ বালাগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুরে বিলের শিকার হয়েছেন এক গ্রাহক। বিলের কাগজ নিয়ে ছুটছেন সমাধানের সন্ধানে। দেশের সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য হলেও বিদ্যুৎ বিভাগের বিল অপরিবর্তনীয়। এ মহাসংকটে রয়েছেন সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জ (কাশিকাপন) জোনাল অফিসের আওতাধীন কয়েক হাজার গ্রাহক। জিজিটাল মিটার পরিবর্তনের নামে চলছে ডিজিটাল অনিয়ম-দুর্নীতি। গ্রাহকরা পাচ্ছেন না কোনো সমাধান। বালাগঞ্জ উপজেলার রিফাতপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষিজীবী মোতাহীর আলীর ব্যবহৃত মিটার নং-০০০৯৬৫৩৮। এ মিটারে গত বছরের আগস্ট ও নভেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজের ‘অন্যান্য’ কলামে ‘ঘাটতি বিল’ হিসেবে অতিরিক্ত বিল দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলের এ কাগজগুলো ঘেঁটে দেখা গেছে আগস্ট মাসে সর্বমোট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে (কি.ও.ঘ.) ৭৫। এ মাসের ব্যবহারী বিলের সঙ্গে ঘাটতি বিল যুক্ত করে ৮ হাজার ৪০৬ টাকার বিল দেয়া হয়েছে। অনুরূপ নভেম্বর মাসে সর্বমোট বিদ্যুৎ ব্যবহার (কি.ও.ঘ.) ৫০। এ মাসের বিলের সঙ্গে ঘাটতি বিল যুক্ত করে ৯ হাজার ৯৯ টাকার বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে। আবার সেপ্টেম্বর মাসের বিল ৪১৩, অক্টোবরে ২৮০ ও ডিসেম্বর মাসের বিলের কাগজে ১৪২ টাকার বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে, যা সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসের বিলের তুলনায় আগস্ট এবং নভেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিস্তর ফারাক রয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক মোতাহীর আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে মিটার পরিবর্তন করে ডিজিটাল মিটার লাগানো হয়েছে। আমি নিয়মিত বিল পরিশোধ করে আসছি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিল প্রস্তুতকারীরা ঘাটতি বিল লিখে দিয়ে আমাদের ওপর বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয় এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়া হয়। সেপ্টেম্বর মাসের বিল প্রস্তুতকারী হিসেবে আম্বিয়া ও নভেম্বর মাসের বিল প্রস্তুতকারী হিসেবে নাসরিনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসের বিল প্রস্তুতকারী হিসেবে নাসরিনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উল্লেখিত বিল প্রস্তুতকারী ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, পুরনো মিটার কিছুদিন অকেজো থাকায় ঘাটতি বিল এসেছে। সুত্র যুগান্তর