বালাগঞ্জে অপরিকল্পিত ব্রীজে ফসলী জমি হারাবে কৃষক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২৫, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
বালাগঞ্জ টু শেরপুর পাকা রাস্তার ২.৫ কিঃমিঃ স্থানে কালভার্ডের কারণে বাড়িঘর সহ কৃষি জমি ধ্বংস, ক্ষতি হতে পারে কয়েক শত একর কৃষি জমি। একারণে কালভার্ট সরিয়ে সড়ক করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের করচারপাড় গ্রামবাসী।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, করচারপাড় গ্রামের মধ্যদিয়ে বালাগঞ্জ টু শেরপুর পাকা রাস্তার ২.৫ কিঃমিঃ তম স্থানে ক্ষতিগ্রস্থ ছোট একটি কালভার্ট রয়েছে। এ ক্ষতিগ্রস্থ কালভার্টের বিপরীতে ২০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি ব্রীজ নিমার্ণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে অত্র এলাকার শত শত একর ফসলী জমি, ভিটাবাড়ি সহ মালিকানা জায়গা রয়েছে। এ স্থানে কালভার্ট থাকায় গত বন্যায় স্রোতের বেগে বেশ কিছু ফসলী ১০-২০ফুট গর্ত করে দেয়। কালভার্টের স্থলে এত দীর্ঘ একটি ব্রীজ নির্মাণ করলে ফলসীজমি গুলো হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়তে পারে কৃষক। এজন্যে এলাকাবাসীর মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভসৃষ্টি হয়েছে।
আবেদনে আরো বলা আছে, কালভার্টের দু’পাশেই ৩ ফসলী কৃষি জমি, সরকারি কোন খাল বা নালা নাই। যখন মাটির রাস্তা ছিলো তখনও এখানে কোনো কালভার্ড ছিল না। এলাকাবাসীর পরামর্শ বা মতামতকে উপেক্ষা করে এই কালভার্ডটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এজন্যে এই স্থানে ব্রীজ বা কালভার্ট পুনঃনির্মান হলে এলাকাবাসীর দিগর বেড়কুড়ি মৌজার জে,এল নং- ১৩৬, দাগ নং- ২৫৯, ২৬০, ২৬২, ২৬৩, ২৬৪, ২৭৫, ২৫৮, ২৫৭, ২৫৬, ২৫৫, ১৬৯, ১৭০, ১৭১, ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬, ১৭৭, ১৭৯, ১৮০ তফশীল বর্ণিত ভিটাবাড়ি, ক্ষেতের জমি ও ফসলাদীসহ ইত্যাদি বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ক্ষতির দিক চিন্তা করে ব্রীজটি না করে এবং ক্ষতিগ্রস্থ কালভার্ডটি ভেঙে সমতল সড়ক করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর দাবি করচারপাড় গ্রামে প্রবেশ মুখে একটি খাল রয়েছে, যা কুশিয়ারা নদী ও করচা হাওরের পানি নামা-উঠা করে এবং এই খালের উপরে থাকা ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজটি সংস্কার করলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে বলে আবেদনে জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
এলাকাবাসী আরো জানিয়েছেন এই অপরিকল্পিত ব্রীজ হলে, ফসলী জমি হারাবে কৃষক। বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হবে পরিবার।
উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
আবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত কুমার চন্দ বলেন, এলাকাবাসীর দাবিটি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে সুপারিশ করেছি।