সিলেটে প্রবাসীর বাসা ছাড়তে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০২৫, ৫:২৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
সিলেটে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বাসা ও জায়গা দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। এক বছর আগে বাসাটি ভাড়া নেন অভিযুক্তরা। প্রথমদিকে কয়েক মাস বাসা ভাড়া দিলেও গত কয়েক মাস থেকে ভাড়া প্রদান থেকে বিরত রয়েছেন। মালিকপক্ষ ভাড়া চাইতে গেলে উল্টো ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে বাসা ছাড়বে না বলে হুমকি দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিএনপি’র দুই নেতার পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ইন্ধনের অভিযোগ করা হয়েছে। ১৪ই মে ওই প্রবাসীর পক্ষে তার খালাতো ভাই আওলাদ মিয়া সিলেট পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। ডিআইজি বরাবর অভিযোগে আওলাদ মিয়া উল্লেখ করেন- তার খালাতো ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ কামাল আহমদ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের ৭ শতক জায়গা ক্রয় করেন ২০১৯ সালে। পরে ওই জায়গার উপর ঘর নির্মাণ, সীমানা দেয়াল, গেট ইত্যাদির আধুনিকায়ন করেন। বাড়ির প্রধান ফটকে ওসমানীনগর হাউস নাম দিয়ে নেমপ্লেট স্থাপন করেন। স্বত্বাধিকারী হিসেবে কামাল আহমদ ও উনার ছেলেদের নাম লেখা হয়। কামাল আহমদ পরিবার নিয়ে আসলে ওই বাসাতেই বসবাস করেন। ২০২৪ সালের জুন মাসে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মোসাম্মৎ হাসনা বেগম ও তার স্বামী মুহিবুর রহমান বাসাটি মাসিক ১২ হাজার টাকায় ভাড়া নেন। হাসনা বেগমের স্বামী মুহিবুর রহমান বিদেশ চলে যাওয়ায় বর্তমানে হাসনা বেগম বাসা ভাড়া প্রদান থেকে শুরু করে সব বিষয়ে ভূমিকা রাখছেন। প্রথমদিকে তারা ভাড়া নিয়মিত পরিশোধ করলেও গত ৭ মাস থেকে তারা ভাড়া প্রদান থেকে বিরত রয়েছেন। বর্তমানে বাসা ভাড়া বাবদ হাসনা বেগমের কাছে ৮৪ হাজার টাকা পাওনা জমা হয়েছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় মালিকপক্ষ থেকে তাদেরকে পাওনা পরিশোধ ও বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশ প্রদান করা হলে বিগত সময়ে নানা টালবাহানায় সময় ক্ষেপণ করেন অভিযুক্তরা। অতি সম্প্রতি বাসা ছাড়া ও পাওনা টাকার জন্য বলতে গেলে হাসনা বেগম বেপরোয়া আচরণ করেন। সরাসরি টাকা দাবি করেন।
এ সময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কামরুজ্জামান দিপু দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে টাকা দেয়ার জন্য বলে, অন্যথায় বাসা ছাড়া হবে না বলে হুমকি প্রদান করেন। অভিযোগকারী উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল আহমদ কয়েক যুগ ধরে বিলেতে অবস্থান করলেও তিনি বাংলাদেশে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। সুত্র-মানবজমিন