সিলেটে আইসিউতে মৃত্যু যন্ত্রণায় মাদ্রাসাছাত্র, ২১ দিনেও প্রকাশ্যে আসামিরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণ করে নির্যাতনের ২১ দিন পার হয়ে গেলেও আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মামলার পর পুলিশ সুপারের ৩ দিনের আলটিমেটামে কোনো কাজ হয়নি। বরং আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে।
এদিকে নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসাছাত্র আবু তাহের আইসিউতে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
শনিবার সিলেট প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব অভিযোগ করেন তার চাচা গোলাপগঞ্জের বাঘা ইউনিয়নের নলুয়া কান্দি গ্রামের নূরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জেরে গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার ভাতিজা আবু তাহেরকে ডেকে নেয় এবং অস্ত্রের মুখে সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এদের মধ্যে ছিল নলুয়া কান্দিগ্রামের আব্দুর রহিম চেরাগের ছেলে রাহেল আহমদ, একই গ্রামের লায়েক আহমেদের ছেলে ছানি আহমদ, ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ গ্রামের মাহতাব আহমদের ছেলে, তুরুকভাগ পশ্চিমপাড়া গ্রামের ফরহাদ আহমদ, দাসপাড়া এলাকার আব্দুল আজিদ (হাফিজ)’র ছেলে মাহবুবসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জন।
তারা পরিকল্পিতভাবে কান্দিগ্রাম ঈদগাহ সংলগ্ন মাঠে নিয়ে তার ভাতিজার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে ও ইলেকট্রিক শক দেয়। আবু তাহের ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে।
নূরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত ৩ এপ্রিল গোলাপগঞ্জ থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলা করার ২১দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানের আগাম খবর কে বা কারা আসামিদের অবগত করলে তারা দ্রুত নিরাপদে পালিয়ে যায়।
আসামিদের স্বজনরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। নিরুপায় হয়ে গত ১৩ এপ্রিল আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সুপারের কাছে দরখাস্ত দেন।
পুলিশ সুপার দরখাস্ত পেয়ে গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে মুঠোফোনে আসামিদের গ্রেফতারে তিন দিনের সময় বেঁধে দেন। কিন্তু আসামিরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।