মঙ্গল নয়, আনন্দ শোভাযাত্রা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করা হয়েছে।
গতকাল সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সংবাদ সম্মেলনে, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এ ছাড়াও, এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে নববর্ষের ঐকতান ফ্যাসিবাদের অবসান।
শোভাযাত্রার মোটিভেও আসবে পরিবর্তন। থাকবে মুগ্ধর পানির বোতল ও ফ্যাসিবাদের মুখাবয়বের বড় আকারের মোটিভ। মাঝারি আকারের সুলতানি ও মুঘল আমলের মোটিভ থাকবে ১০টি। ফিলিস্তিনকে স্মরণে রেখে থাকবে তরমুজের মোটিভ। এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তরমুজ ফিলিস্তিনিদের কাছে ‘প্রতিরোধ ও অধ্যবসায়ের প্রতীক’। ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও মূলত এটি তাদের পতাকা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর কারণ হলো, ফলটির বাইরের অংশের রঙ সবুজ। আর ভেতরের অংশগুলোর রঙ লাল, সাদা ও কালো। এ রঙগুলো ফিলিস্তিনের পতাকার রঙের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এবারের শোভাযাত্রায় আমরা অন্যান্য মোটিভের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মুসলমানদের লড়াই ও সংগ্রামের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তাদের প্রতীক হিসেবে তরমুজের মোটিভ সামনে নিয়ে আসছি।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ২০১৬ সালের ৩০শে নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।