ওসমানীনগরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের আহবান, নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহিনী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ৯:০৩ অপরাহ্ণ
সিলেটের ওসমানীনগরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আহবান করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ভাড়েরা গ্রামের সৈয়দ এনামুল হক এনাম পীর ও উমরপুর ইউনিয়নের মাটিহানী গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক মিয়ার পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের আহবান করলে ওসমানীনগর থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও ওসমানীনগর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রাত ৮পর্যন্ত এ রিপোর্ট লেখার সময় উভয় পক্ষে নিজ নিজ গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।উভয় পক্ষে শক্তি বৃদ্ধি করছে। জানা যায়, শুক্রবার বিকালে উপজেলার তাজপুর বাজারস্থ রাস্তায় সৈয়দ এনামুল হক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর উভয়ই যার যার বাড়িতে চলে যান। শনিবার বেলা ২টার দিকে এনামুল হকের পক্ষের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের তাজপুরে আসতে আহবান করেন। এ ঘোষণা শুনে মাটিহানীর রফিক মিয়ার পক্ষের লোকজনও তাজপুরে আসার প্রস্তুতি নিলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ, তাজপুরস্থ ওসমানীনগর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা ও বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক মিয়া বলেন, আমার ভাগনা আব্দুস সালাম তাজপুর বাজারে সাবেক চেয়ারম্যান ঝলক পালের বোনের কাছ থেকে একটি বাসার জমি কিনেন। বিষয়টি জানতে পেরে সৈয়দ এনামুল হক এনাম পীর আব্দুস সালামের উপর মামলা করেন। আমার মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এনাম পীরকে ৮লক্ষ টাকা প্রদান করার পরও তিনি মামলা তুলেননি। শনিবার বিকালে তাজপুর বাজারে তার কাছে মামলা তুলার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কথা কাটাকাটি করেন। শনিবার আমাদের উপর হামলা করার জন্য মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাজপুরে লোক জড়ো করার আহবান করেন ।
সৈয়দ এনামুল হক এনাম পীর বলেন, আমি শনিবারে বাজারে গেলে রফিক মিয়া ও জমশেদ আলী নামের দু’জনসহ ৫জন লোক আমাকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে কিছু টাকা ছিনিয়ে নেন। আজ এর প্রতিবাদে আমার এলাকার লোকজন বাজারে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আমি এলাকার লোকজনকে শান্ত রাখতে চেষ্টা করেছি।
ওসমানীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, তাজপুরে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষের পর্যায়ে গেলে সাথে সাথে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ।