সিলেটে মধুচক্রে পুলিশের চোখ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
সিলেটের হোটেল-মোটেলে মধুচক্রে চোখ পুলিশের। দিচ্ছে হানাও। গত মাসে শহরতলীর রিজেন্ট পার্কের ঘটনার পর নগর পুলিশ অভিযান জোরদার করেছে। এরই মধ্যে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে অর্ধশতাধিক নারী পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিলেট হচ্ছে আধ্যাত্মিক শহর। এই শহরে বেহায়া-বেলাল্লাপনা মানেন না ধর্মপ্রাণ মুসলমান। রমজান সামনে। এ কারণে নানা বিষয় নিয়ে সতর্ক সিলেটের পুলিশ। এর মধ্যে হোটেল-মোটেলে অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চালাচ্ছে।
সর্বশেষ গতকাল সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ তালহা আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১১ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের হোটেলে অবস্থান করে অসামাজিক কার্যকলাপ করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন (এসএমপি) পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, সিলেটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালহা হোটেল থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিন তরুণী রয়েছে। বাকি ৮ পুরুষ। এরা হচ্ছে- শাহপরাণ থানার হাতুরা গ্রামের লোকমান হোসেন অপু, সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দরিয়াবাজ গ্রামের আলাউদ্দিন, জগন্নাথপুর থানার জগদীশপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার উমরা কাফন গ্রামের ইয়াছিল আহমদ, একই গ্রামের শাহবাজ মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার মিন্দপুর গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার বড় পাইকুড়া গ্রামের নাজমুস সাকিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার গাউছিয়া মিয়াবাড়ির সুমন মিয়া। গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ দিনে পুলিশ অসামাজিক কাজের কেন্দ্রস্থল দক্ষিণ সুরমার কদমতলী, বঙ্গবীর রোড সহ কয়েকটি স্থানে কমপক্ষে সাতটি হোটেলে অভিযান চালায়। সেখান থেকে তারা অধর্শতাধিক নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে।