আল্লামা ইসহাক মাদানীর ইন্তেকাল: সিলেটজুড়ে শোকের ছায়া
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:২৫ অপরাহ্ণ
সুরমানিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার, বর্ষীয়ান আলেমে দ্বীন, সিলেটের কৃতি সন্তান শাইখুল হাদিস আল্লামা ইসহাক আল মাদানী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। এর আগে রোববার শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঐ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে মারা যান।
মরহুমের ১ম জানাযার নামাজ সোমবার (২০ জানুয়ারী) পৌণে ৫টায় (৪.৪৫ মিনিটে) সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের বড় ছেলে হাফিজ হাসান বিন ইসহাক আল হাদী। তিনি জানাযার কয়েকঘন্টা পূর্বে লন্ডন থেকে সিলেটে পৌঁছান।
এদিকে বৃহত্তর সিলেটের অভিভাবকতুল্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন ও হাজার হাজার আলেমের উস্তাদ আল্লামা ইসহাক আল মাদানীর ইন্তেকালে সিলেটজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর খবর শুনে প্রথমে হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে তাঁর বাসায় ভক্ত, সমর্থক, শিক্ষক-ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ভীড় জমান। বাদ আসর নগরীর ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে মরহুমের ১ম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার হাজার হাজার মুসল্লী অংশ নেন।
জানাযা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী, আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ একরামুল হক, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদের সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর, আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের সহ-সভাপতি হাফিজ আব্দুল হাই হারুন ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মিফতাহুদ্দীন আহমদ, শিক্ষাবিদ লেঃ কর্ণেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, সোবহানীঘাট ডিওয়াই কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা কুতবুল আলম, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা পাঠানটুলার প্রিন্সিপাল মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, রাজনগর দারুচ্ছুন্নাহ ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ আলহেরা ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ফুলবাড়ী আজিরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জাকির হোসাইন ও সিলেট মহানগর ইমাম সমিতি সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব প্রমুখ।
এছাড়া জানাযার নামাজে, সিলেটের বিভিন্ন স্তরের আলেম-উলামা, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক-ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কয়েক সহস্রাধিক মুসল্লী অংশ নেন।
মরহুম আল্লামা ইসহাক আল মাদানী উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ ও দ্বীনের দায়ী ছিলেন। হাজারো আলীমের উস্তাদ, ইলমে নববীর জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, উম্মাহর সম্পদ ছিলেন। তিনি ছিলেন ঐতিহ্যবাহী দারুল ইফতা সৌদি আরবের সাবেক মুবাল্লিগ। শিক্ষা জীবনে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে শায়খ ইসহাক আল মাদানী বিশ্ববিখ্যাত মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পাঠানটুলায় শায়খুল হাদিস হিসেবে ইলমে দ্বীনের খেদমত করেন।
তিনি ৯ অক্টোবর ১৯৫৩ ইংরেজী। জুম’আ বারে সিলেটের গোলাপগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ফাযেলে দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারতের মুফতি মাযহারুল ইসলাম ওসমান কাসিমী কর্তৃক রচিত এশিয়া মহাদেশের বিখ্যাত ইসলামী মনীষীদের ছাত্রজীবনের বর্ণনা সম্বলিত বই: বিখ্যাত ১০০ ওলামা মাশায়েখের ছাত্রজীবন। ২০০৯ সালের মার্চ মাসে ৩৮৪ পৃষ্ঠার বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। যে গ্রন্থের শুরুতেই স্থান পেয়েছে, ইমাম আযম আবু হানীফা (র:) ও আল্লামা ইমাম গাজ্জালী (র:)-এর জীবনী। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের ২৪৭-২৫০ পৃষ্ঠায় শায়খ ইসহাক আল মাদানী (রহ.) সাহেবের জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। শিরোনাম: ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক হযরত মাওলানা শায়খ ইসহাক আল-মাদানী। উক্ত বইটিতে মদীনা ইসলামী ইউনিভার্সিটি, মক্কা উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ জামেয়া সাউদ ইসলামী ইউনিভার্সিটি এবং মিশরের আল আযহার ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্ত পাক বাংলা ভারতের অন্য কোনো স্কলারের জীবনী স্থান পায় নি।
তিনি ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কামিল (হাদীস) বিভাগে ১ম বিভাগে ২য় স্থান অর্জন করেন। ঐ সেশনে সারাদেশে মাত্র ৪জন ছাত্র ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। বায়তুল মোকাররমের খতীব মাওলানা উবায়দুল হক জালালাবাদী এবং মুহাদ্দিস মাওলানা ফযলে হক ফাযেলে দেওবন্দের কাছ থেকে তিনি হাদীসের উচ্চতর সনদ লাভ করেন। ঐ বছরেই তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের ৬০ বছর দায়িত্বপালনকারী মহাপরিচালক ক্বারী তৈয়্যব কাসেমীর কাছ থেকে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মিলনায়তনে হাদীসের ইযাযত অর্জন করেন।
১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবী বিভাগে অনার্স কোর্সে চান্স পান। স্যার সলিমুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। দু’বছর যেতে না যেতেই ১৯৭৮ সালে তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন। মেধার ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও দু’জন শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন। তাঁরা হলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক, আসহাবে রাসুলের জীবনকথা গ্রন্থের লেখক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মাবুদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের আরেকজন অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ আব্দুল্লাহ। উক্ত তিনজন মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ১ম ব্যাচের ছাত্র।
তিন জনই আরবী বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। শায়খ ইসহাক আল মাদানী অনার্স প্রথম বর্ষেই ১১০টি দেশের ছাত্রদের সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়ে প্রথম বিভাগে ১ম স্থান অর্জন করেন। আল-হামদুলিল্লাহ। প্রতিটি বর্ষেই তিনি কৃতিত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন এবং ১৯৮৩ সালে অনার্স সমাপনীতে তিনি ১ম বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করেন। আরবী ভাষা বিভাগে ঐবছর আর কেউ ১ম বিভাগ অর্জন করতে পারেন নি। ৯০% মার্কসসহ উত্তীর্ণ হয়ে একমাত্র তিনিই কৃতিত্বের অনন্য স্বাক্ষর উপস্থাপন করেন। তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী ছাত্র, যিনি একইসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা বিভাগে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জনকারী। তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ছাত্রদের অংশগ্রহণে আয়োজিত আরবী ভাষাতত্ত্ব বিষয়ক প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করেন এবং আরবী ভাষায় সর্ববৃহৎ অভিধান- লিসানুল আরব গ্রন্থটি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন। তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবী ভাষায় ৩টি বিষয়ে থিসিস লিখেছিলেন। যা এখনো আরবী ভাষা বিভাগে রেফারেন্স হিসেবে স্বীকৃত। বিষয়গুলো হলো: ১. স্পেনে আরবী সাহিত্যের বিকাশ ২. মিশরে আধুনিক আরবী সাহিত্যের বিকাশ ৩. আরবী ভাষার অলংকার শাস্ত্রে আবুল কাহির জুরজানীর অবদান। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগে এম.এ ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং ফাস্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি.সি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, তাঁর ণবধৎসধঃব। একই বছরে তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ফাস্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে সর্বোচ্চ মার্কস পেয়ে তৎকালীন ভি.সি এম. মনিরুজ্জামান মিয়ার কাছ থেকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে এম.ফিল করেন। ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষে পি.এইচ.ডি প্রোগ্রামে যোগদান করেন। মাদ্রাসার ইতিবৃত্ত, বৃহত্তর সিলেট শিরোনামে অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে পি.এইচ.ডি পেপার তৈরী করতে থাকেন। অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ইন্তেকাল করেন। অতঃপর তিনি অন্য কারো তত্ত্বাবধানে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী নিতে আগ্রহী হন নি। ফলে তাঁর ডক্টরেট ডিগ্রী নেয়া হয় নি।
তিনি সৌদি আরবের গ্রান্ডমুফতী আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায কর্তৃক ০৬.৫.১৪০৪ হিজরী মোতাবেক ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশের সিলেটে দাঈ ইলাল্লাহ হিসেবে নিয়োগ পান। ০৫.১০.১৯৮৩ ইং থেকে ১৭.০৫.২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থিত সৌদি রাজকীয় দূতাবাসের রিলিজিয়াস এট্যাচি এর তত্ত্বাবধানে বৃহত্তর সিলেটে ইসলামের দাওয়াতী কাজ করেন। সৌদি রাজকীয় দূতাবাস ১৫ মার্চ ২০২১ সালে তাঁকে একজন ইসলামিক স্কলার হিসেবে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে।
তিনি মদীনার মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম ও খতীব শায়খ আব্দুর রহমান বিন আলী হুযায়ফীর কাছে ইলমুল ক্বেরাত পড়েন। ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মদীনার মসজিদে নববীতে সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি গায়েবানা জানাযায় উপস্থিত ছিলেন এবং নামায আদায় করেন। তাবলীগ জামায়াতের শীর্ষ আলেম শায়খুল হাদীস আল্লামা যাকারিয়ার সাথে চার বছর সাহচর্য লাভের সুযোগ হয়েছিলো। ১৯৮৬ সালে মক্কার মসজিদুল হারামের প্রধান ইমাম ও খতীব শায়খ আব্দুল্লাহ বিন সুবায়েল দু’দিনের সফরে সিলেট আসেন। মক্কার ইমামের সবকটি বক্তৃতা তিনি তাৎক্ষণিক বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন।
তিনি দীর্ঘদিন সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসায় শায়খুল হাদীস পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও মিশকাত শরীফের দরস দিয়েছেন। যা থেকে নিজেও ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত ও দীক্ষিত হয়েছি। দেশ-বিদেশে তাঁর হাজারো ছাত্র রয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপালনরত প্রিন্সিপাল, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও মুফতি অনেকেই তাঁর ছাত্র। বৃহত্তর সিলেটের অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা, বিশেষ করে মহিলা মাদ্রাসা, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ইয়াতীমখানা ও ইসলামী পাঠাগার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে সৌদি সরকারের আর্থিক অনুদানে এ সকল কাজ সম্পন্ন হয়।
তিনি বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, সৌদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৭৮ সালে নিবন্ধিত), লাজনাতুল বুহুছ আল-ইসলামিয়ার সহ-সভাপতি, তাহফীজুল কুরআন শিক্ষাবোর্ড সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, উলামা মাশায়েখ পরিষদ সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের সহ-সভাপতি, ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, হাউজিং এস্টেট জামে মসজিদের খতীব, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের আজীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারী) বাদ এশা সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ মইরচা বাউসী গ্রামের ২য় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।