মৌলভীবাজারে মানসিক রোগী সেজে পেনশন নিতে চান তাহমিদা ইসলাম!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ণ
মানসিক রোগী সেজে পেনশনের টাকা নিতে চান মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। অথচ তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। শিক্ষক তাহমিদা ইসলাম অসুস্থ কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠালে মেডিকেল বোর্ড তার আবেদন বাতিল করেন। সূত্র জানায়, ওই শিক্ষক পেনশনের টাকা নিয়ে ভিজিট ভিসায় কানাডায় যেতে চান। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকের এমন জালিয়াতিতে সমালোচনা করছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জেলার সচেতন মহল। তারা বলছেন, শিক্ষক এমন মিথ্যার আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা তাদের কাছ থেকে কি শিখবে।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক তাহমিদা ইসলাম মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কানাডায় যেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর করেন। এরই মধ্যে ওই শিক্ষক শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা জনিত কারণে চাকরি হতে অব্যাহতির জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ১২ আগস্ট আবেদন করেন।
তাহমিদা ইসলাম আদৌ অসুস্থ কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠালে মেডিকেল বোর্ড তার আবেদন বাতিল করে। সূত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলে কতিপয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাহমিদা ইসলামের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এর প্রভাব খাটিয়ে তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন এবং ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতেন। বিদ্যালয়ে পাঠদানে চরম অবহেলা করতেন।
এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক তাহমিদা ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়েই তিনি সংযোগ কেটে দেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. খোরশেদ আলম বলেন, যেহেতু মেডিকেল বোর্ড উনাকে ইনভেলিড ঘোষণা করেনি। তাই তাকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে এবং বহি:বাংলাদেশ ছুটিও বাতিল হবে। ওই শিক্ষক যে মানসিক রোগী- এটা কি কারো কাছ থেকে কখনো শুনেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমনটি কখনো শুনিনি।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, ওই শিক্ষিকার মানসিক অসুস্থতার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। উনাকে সিলেট এমএজি ওসামানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।