ওসমানীনগরে টুং টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০২৪, ৯:৩০ অপরাহ্ণ
জুবেল আহমেদ, ওসমানীনগর:
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের ওসমানীনগরে কামার পল্লীগুলোতে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা । টুং টাং শব্দে দা, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত তারা। এসব সরঞ্জাম নতুন ভাবে তৈরি এবং পুরনোগুলোতে শান দিতে যেনো দম ফেলার সময় নেই তাদের। তবে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ হয় না বলে দাবি কামারদের।
শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সারা বছর কাজ সীমিত থাকলেও কোরবানির ঈদের এ সময়টাতে বেড়ে যায় কামারদের কর্মব্যস্ততা। ঈদকে ঘিরে আশার আলো দেখছেন কামাররা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের চাপাতি, ছুরি, বটি ও চাকু তৈরিতে। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসবে ততই বাড়বে তাদের ব্যস্ততা।
রাজু আহমদ নামে এক ক্রেতা বলেন,অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, চাপাটির দাম একটু বেশি। ঈদ এলে লোহার দাম না বাড়লেও চুরি, চাকুর দাম ঠিকই বেড়ে যায়।
কামার শিল্পীরা জানান, ছোট ছুরি ৩০ থেকে ৩০০ টাকা। বড় ছুরি ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা,আর বঁটি প্রতি পিস ৩০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এছাড়াও দেশি- বিদেশি চাপাতি বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে।
গোয়ালাবাজারে বঁটি কিনতে আসা হুমায়ুন আহমদ নামের এক ক্রেতা বলেন, আমি একটি নতুন বঁটি কিনেছি ৪০০ টাকা দিয়ে আর একটি পুরাতন বঁটি শান দিয়েছি ১২০ টাকায়।
গোয়ালাবাজারের কর্মকার হেভেন্ড ধর জানান, আমরা অপেক্ষা করি কোরবানির ঈদের জন্য। সারা বছর আমাদের কাজ নেই বললেই চলে৷ কোরবানি ঈদ আসলে আমরা একটা আশায় থাকি।সারা বছর আমাদের ব্যবসা মন্দা। কোরবানি ব্যতীত অন্য মাসগুলো আমরা কোন মত দিন পার করি । ঋণ করে চলতে হয় আমাদের। এ কারনে অনেকেই পেশা বদলিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।