ওসমানীনগরে গরুর হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুন ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ণ
জুবেল আহমেদ, ওসমানীনগর:
সিলেটের ওসমানীনগরে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরুর হাটে বিপুল সংখ্যক গরু থাকলেও পর্যাপ্ত ক্রেতা নেই। বেশিরভাগ ক্রেতাই গরু দেখছেন, দরদাম করছেন কিন্তু কিনছেন কম। ঈদুল আযহা উপলক্ষে হাটে প্রচুর মানুষ থাকলেও বিক্রি তেমন নেই বলে জানান বিক্রেতারা। ক্রেতারা গরুর দাম বেশির অভিযোগ করলেও বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় পশু খাদ্যসহ সব জিনিসপত্রের দাম প্রায় দ্বিগুণ। সে অনুযায়ী গরুর দাম দাম খুব একটা বৃদ্ধি পায়নি।
বুধবার উপজেলার বানিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজার পশুর হাট ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা যায়। দেখা গেছে, হাটে সারি সারি বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে হাজারো কোরবানির পশু। গরুর দরদাম নিয়ে হাঁকডাক করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। দূর-দূরান্ত থেকে ট্রাক-পিক আপে করে হাটে আসে হাজারো গরু। বিভিন্ন আকারের পর্যাপ্ত গরু হাটে সমাগম হয়েছে। ক্রেতারা পছন্দের গরু দেখে দরদাম করছেন। তুলনামূলক ছোট-বড় সাইজের দেশীয় প্রজাতির গরু হাটে উঠেছে। তবে এই হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে। সাধারণ ক্রেতা আসলেও দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। তবে বেচাকেনা কম হলেও হাটে লোক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠে পুরো হাট।
মৌলভীবাজারের রাজনগর থেকে আসা গরু ব্যাপারী জিতু মিয়া বলেন, বাজারে বিক্রেতা বেশি ক্রেতা কম। আমি একটি ৫৯৫ কেজি লাইভ ওজনের গরু নিয়ে এসেছি। দাম চেয়েছি সাড়ে ৫ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত দাম হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার। ৪ লাখ হলে বিক্রি করবো।
গরু কিনতে আসা উমরপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সৈয়দ মাসুদ আলী জানান, দরদাম করছি তবে বাজারে গরুর দাম বেশি, তাই কিনতে পারিনি। গরুর দাম বেশি থাকায় হাটে ক্রেতাও কম।
গোয়ালাবাজার গরুর হাটের ইজারাদার সাহিদ আহমদ সুফি জানান, তুলনামূলক হাটে গরু কম বিক্রি হচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ। আশ-পাশের মানুষের গরু রাখার জায়গা নেই তাই এখন গরু কিনছেন না। গরুর দাম মোটামোটি আগের থেকে এখন কম আছে। দুই-তিন বাজার আগে দাম বেশি ছিল। আজকের বাজারে তুলনামূলক কম।