কানায় কানায় পূর্ণ সিলেটে নেই খেলা, ক্ষোভ বিসিবি পরিচালক নাদেলের
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:১২:০৮,অপরাহ্ন ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন মিরপুর কেন্দ্রিক। মিরপুরের ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে ঘিরে যেন সকল প্রকার ক্রিকেটের পরিকল্পনা সাজানো হয়। মিরপুরের বাহিরে জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচি বলতে বর্তমানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের নাম উঠে আসে। যদিও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হওয়ার মতো আরও উপযুক্ত কিছু স্টেডিয়াম রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সিলেটের কেবল এই স্টেডিয়াম নয় আউটার স্টেডিয়ামও যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন।
কেবল স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা নয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের যেসব ফ্যাসিলিটির প্রয়োজন, তার সবই আছে চায়ের এই রাজ্যে। ফাইভ স্টার হোটেল থেকে শুরু করে উন্নত জীবন যাপনের জন্য যা প্রয়োজন, সবই রয়েছে সিলেটে।
সবচেয়ে বড় বিষয় সিলেটে রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমী অসংখ্য দর্শক। ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ দর্শকরাই আসলে এই খেলাকে বাঁচিয়ে রাখে, বাজার বড় করে। অন্ততপক্ষে সিলেটে এমন দর্শকের অভাব নেই মোটেও। চলতি বছরের বিপিএলে যেখানে ঢাকায় এবং চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামে ফাঁকা আসনের দেখা মিলেছে, সেখানে সিলেট সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।
১৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়াম কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। উল্লাস-উচ্ছ্বাস সবই ছিল আনন্দদায়ী। সেই সিলেটে নিয়মিত খেলা দেওয়া হয় না, কিংবা আন্তর্জাতিক সূচিতে দর্শকরা বঞ্চিত হওয়াটা স্বস্তির নয় বলে জানিয়েছেন, সিলেট বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি করা বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম নাদেল।
বিশেষ করে আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে কোনো ম্যাচ না পাওয়াটা হতাশ করেছে এই ক্রীড়া সংগঠককে। সিলেটে বর্তমানে ফাইভ স্টার হোটেল থেকে শুরু করে সব সমস্যা দূর হওয়ার পরও খেলা না পাওয়াটা মেনে নেওয়ার মতো নয় জানিয়ে শফিউল আলম নাদেল বলেন,
‘আশাহত হয়েছি। ইংল্যান্ড ট্যুরটি আমরা পাইনি। (ইংল্যান্ড এখানে) খেলবে না আমি বলি নাই। এটা যিনি বলেছেন, তিনি জানেন। আমি মনে করি ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিলেটের যে সম্পর্কটা এবং ইংল্যান্ড দলে যারা খেলেন, তাদের কিন্তু সিলেটের প্রতি… সিলেটে খেলার ব্যাপারে আগ্রহ আছে। এখানে যে ফ্যাসিলিটি আছে সেটা তো অন্য জায়গায় এভাবে নেই। তারা আসতে চাইবে না, এটা আমি জানি না আসলে।
এখন হয়তো আমাদের সেভেন স্টার খুঁজতে হবে। ফাইভ স্টার তো হয়ে গেছে।’
আন্তর্জাতিক সূচির ম্যাচ পাওয়ার আক্ষেপের সঙ্গে এই ক্রীড়া সংঘঠক বিপিএলে ৪৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৮টি পাওয়াতেও হতাশা ফুটে উঠেছে তার কণ্ঠে। শফিউল আলম নাদেল আরও যোগ করেন, ‘সিলেটে তো শুধু বিপিএল নয়, যেকোনো ক্রিকেটের আসর যখন বসে, দর্শকে মাঠ ভরপুর থাকে। সেটা আপনারাও দেখেছেন। এবার আমরা চার দিনে আটটা ম্যাচ পেয়েছি।… আমি মনে করি, আমাদের এই ভেন্যু সুযোগ-সুবিধা, সৌন্দর্য সব কিছু নিয়ে যে জায়গায় এসেছে, আগামী দিনে আমরা আরও টুর্নামেন্ট পাব, সেই প্রত্যাশা সব সময়ই করি।
আয়ারল্যান্ড সফর এখানে হবে। আবাসনসহ আমাদের প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। ইতোমধ্যে এই সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করে আমরা অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছি। আমি আশা করি, আগামী দিনে যারা এই খেলাগুলোর ফিক্সচার ও সময়সূচি নির্ধারণ করবেন, ভেন্যু নির্ধারণ করবেন, তারা আরেকটু সদয় হবেন। আরেকটু সুবিবেচক হয়ে তারা সিলেটের দর্শকদের এবং আপনাদের চাহিদা পূরণ করতে তারা এগিয়ে আসবেন।’