টিপকাণ্ড : মনগড়া প্রতিবেদনে বরখাস্ত করার অভিযোগ নাজমুলের
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৩:১১,অপরাহ্ন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীতে আলোচিত ‘টিপকাণ্ডে’ চাকরি হারানো পুলিশ সদস্য মো: নাজমুল তারেক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা কোনোরূপ প্রমাণ ছাড়াই মনগড়া তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি তদন্ত কর্মকর্তা এবং অভিযোগকারী লতা সমদ্দারের বিচার দাবি করেন। তা না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে স্ত্রী ও শিশুসন্তান উপস্থিত ছিল।
সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্ত্রী ও শিশু নিয়ে অবস্থান নিয়ে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানান নাজমুল। পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজমুল বলেন, “সেদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফার্মগেট সেজান পয়েন্টে এলাকা শনিবার সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা থাকার কারণে ফার্মগেটে প্রচণ্ড জ্যাম ছিল। যার কারণে তিনি উল্টো দিক থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। একজন ভদ্র মহিলা মোবাইলে কথা বলতে বলতে অসাবধানতাবশত আমার মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাসের সাথে ধাক্কা লাগে। ফলে তিনি ব্যাপকভাবে ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘পুলিশের ক্ষমতা দেখাস’। এই বলে উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি করতে থাকেন। তাকে ‘সরি’ বললেও তিনি স্বাভাবিক হননি।”
নাজমুল তারেক বলেন, ‘আমি মোটরসাইকেল নিয়ে সামনের দিকে যেতে চাইলে তিনি ইউনিফর্মের শোল্ডার ব্যাজ ধরে টান দিলে ঘটনাস্থলে আমার বাইক নিয়ে পড়ে যায়। এরপর বাইক নিজে উঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাই। ঘটনার চার দিন পরে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি তিনি আমার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি জিডি দাখিল করেছেন। তাতে কপালে টিপ পরায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।’
নাজমুল বলেন, ‘ওই কলেজ শিক্ষিকা পোশাক পরা অবস্থায় আমাকে ফেলে দেয়ার ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমার দাঁড়ি-টুপি থাকায় সুপরিকল্পিতভাবে টিপ নিয়ে নাটক সাজিয়েছেন। অথচ সেদিন এ ধরনের কোনো কথাই সেখানে হয়নি। পরে এই ঘটনায় ঘটিত তদন্ত কমিটি টিপ নিয়ে কটূক্তির প্রমাণ পায়নি বলে রিপোর্ট দিয়েছে। তবে ওই নারীর সাথে বাকবিতণ্ডার সত্যতা পেলেও তা বাইকে লাগাকে কেন্দ্র করে হয়েছিল বলে প্রমাণ পায় কমিটি। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রহিমা আক্তার লাকী মিথ্যা ও মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। যার কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই। তিনি কোনো প্রমাণ দিতে না পারলে আমি তার বিচার চাই।’
‘তার মিথ্যা প্রতিবেদনে আমাকে অন্যায়ভাবে গত ১১ আগস্ট চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পেনশনসহ কোনো আর্থিক সুবিধা পাইনি। এতে দুই কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সামাজিকভাবেও আমার সম্মানহানি হয়েছে। তাই যারা এই মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নেবো,’ বলেন তিনি।