বালাগঞ্জে বন্যার উন্নতি কিন্তু উদ্বিগ্ন নদীর পাড়ের মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মে ২০২২, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
জাগির হোসেন, বালাগঞ্জ:
সিলেটের পানির চাপ কুশিয়ারায় পড়লে টানা এক সপ্তাহর খড়ায় পানি কমছে। কুশিয়ারার পানি হাওর ডুকে হাওর ফুলে ফেঁপে উঠছে দিন দিন। এতে বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য, কৃষি ও যাতায়াত খাতে। প্লাবিত হয়েছে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন।
সূত্র জানায়, কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আঁউশের বীজতলা ১ হাজার দু’শত হেক্টর ও সবজি ১ হাজার হেক্টর। মৎস্য খাতে বেশী ক্ষতি হয়েছে ৯.৩০৯ হেক্টর মালিকানাধীন মৎস্যচাষকৃত জমি। পানি উঠায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে ২ লক্ষ মাছ, পোনা ১ লক্ষ। অবকাঠামো, মাছ, পোনা মিলিয়ে প্রায় ১৪লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবন্যায়। গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের সড়ক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০কি.মি।
বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর, বোয়ালজুর, বালাগঞ্জ সদর, দেওয়ান বাজার, পূর্বগৌরীপুর, পশ্চিম গৌরীপুরে নদীর পাড় ও হাওরাঞ্চলের মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে দুই হাজার পরিবার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আক্তার বলেন, বন্যার্তদের সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ব্যাপারটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। আমরা তাঁদেরকে অবগত করেছি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. মোস্তাকুর রহমান মফুর বলেন, বন্যার্তদের সরকারি সহায়তা দেয়া হয়েছে। বন্যার উন্নতি হলেও শঙ্কা ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছি। নদীর পানি হ্রাসের সাথে সাথে নদীর পাড় ধসে পড়ে। প্রতিবছর আমার উপজেলা শতাধিক পরিবার কুৃশিয়ারার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, নদীর নাব্যতারক্ষা ও নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত বালাগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে পানি চাপ আবারও আসতে পারে।