যুবদল কর্মীর লাশ নিয়ে সিলেটে সড়ক অবরোধ, দু’গ্রুপে উত্তেজনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৪১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
সিলেট নগরীর শাহপরান এলাকায় যুবদল কর্মী বিলাল আহমদ মুন্সীর লাশ নিয়ে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে শাহপরাণ মাজার গেটে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আধা ঘণ্টা সড়কে অবস্থানের পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা। এ সময় তারা অবিলম্বে বিলালের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বিএনপির বিবদমান দুটি গ্রুপে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ক্ষুব্ধ লোকজন একত্রিত হয়ে শাহপরাণ বাজারে লাশ নিয়ে আসেন। এ সময় শত শত লোক এসে বিক্ষোভে যোগ দেন। তারা বিলাল হত্যার প্রতিবাদে সড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নেয়। প্রায় আধাঘণ্টা তারা সড়কে অবস্থান নেন।
জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর শাহপরাণ বাহুবল এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিলাল আহমদ নিহত হন। তিনি জহুরুল ইসলামের ছেলে। বিলাল পেশায় রংমিস্ত্রি ছিলেন এবং যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল এলাকার স্কুলছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র ও জুনিয়র দ্বন্দ্বে বিরোধ চলে আসছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশ-বৈঠকও হয়। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরই জেরে সাকেরের পক্ষ নেন যুবদল-ছাত্রদলের সিলেটের শাহজালাল উপশহর গ্রুপের কিছু নেতা-কর্মী। যুবদলের উপশহর গ্রুপের কয়েকজন নেতা-কর্মী সশস্ত্র অবস্থায় বাহুবল এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিলাল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হামলাকারীরা তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় বলে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাত ও পায়ের রগ কেটে দেওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, বিলাল হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনক ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।