নৌকার ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে লাঙ্গল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুলাই ২০২১, ১:০১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
আর মাত্র দুইদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন। আগামী ২৮ জুলাই (বুধবার) দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মোট ১৪৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
আগামীকাল ২৬ জুলাই শেষ হচ্ছে এ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। কঠোর লকডাউন এবং ঈদুল আজহা কারণে প্রচারণায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে প্রত্যেক প্রার্থীর প্রচারণা। আর এতে করে ভোটের মাঠেও চলছে নানা হিসেব-নিকেশ।
এ আসনে এবারের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন- আওয়ামী লীগ থেকে হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টি থেকে আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে জুনায়েদ মো. মিয়া।
ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন এবং তরুণ প্রার্থী হিসেবে এদের মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। প্রচার-প্রচারণায়ও বাকি তিন প্রার্থী তার থেকে অনেক পিছিয়ে। এছাড়া তিন উপজেলার তৃণমুল আওয়ামী লীগের নেতারা তার পক্ষে সক্রিয়ভাবে প্রচারণায় নামায় ভোটের মাঠে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন তিনি।
তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাদের এবং সাবেক এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলয়ের কিছু নেতাকর্মীদের হাবিবের পক্ষে কোন প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায়নি। তাই নির্বাচনে তাদের অবস্থান এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তারা হাবিবের বিপক্ষে অবস্থান নিলে জয়ের ব্যপারে কিছুটা বেগ পেতে হতে পারে হাবিবকে।
এদিকে সিলেটের ছয়টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে সিলেট-৩ আসনটিকে জাতীয় পার্টি তাদের দুর্গ হিসেবে বিবেচনা করে। এ কারণে আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ছিলেন আব্দুল মুকিত খান। এমন ধারণা থেকেই এ আসনে লাঙ্গল নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক। এ আসনে এক সময় জাতীয় পার্টির হয়ে ভোটের রাজনীতিতে সরব ছিলেন আতিকুর রহমান আতিক। দীর্ঘদিন এলাকায় তিনি না থাকলেও এবার ভোটে প্রার্থী হয়ে নীরব ভোট বিপ্লবের আশায় রয়েছেন। আর এমনটা হলে নৌকার প্রার্থী হাবিবের জন্য সেটি দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।
এছাড়া এ আসনে বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে বিএনপি এবং জামায়াতের। বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও এ আসনের সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বিএনপির কেউই তার সাথে নেই। অনেকটা কর্মী সংকটে রয়েছেন তিনি। তাই বিএনপি এবং জামায়াতের ভোট যেদিকে পড়বে ফলাফল সেদিকে প্রভাবিত হওয়ার বড় শঙ্কা রয়েছে।
সবমিলিয়ে নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব সকল সমীকরণে এগিয়ে থাকলেও তার মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। সিলেটভিউ।