ফাইনালিস্ট হয়েও মীরাক্কেলের ফাইনালে নেই সিলেটের রিমন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২১, ২:২১ অপরাহ্ণ
বিনোদন ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গে টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জারের দশম সিজনের ফাইনালে উঠলেও ২৩ মে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে অংশ নিতে পারছেন না বাংলাদেশের প্রতিযোগী আবিদুল ইসলাম রিমন। বাবা মারা যাওয়ায় হঠাৎ বাংলাদেশে চলে আসতে হয় রিমনকে। এরপর আটকা পড়েন লকডাউনে। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ফাইনালে অংশ নেয়ার জন্য কলকাতায় আর যেতে পারেননি।
মীরাক্কেলের মঞ্চে স্বপ্নের ফাইনালে অংশ নিতে না পারায় ব্যাথিত রিমন। বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এত কষ্ট করে ফাইনালে উঠলাম। এখন ফাইনালিস্ট হয়েও অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। লকডাউনের জন্য বাংলাদেশে আটকে গেলাম। সেই সঙ্গে শেষ হয়ে গেল মীরাক্কেল মঞ্চে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলাম না। আক্ষেপটা সারাজীবন থাকবে।’
তবে ফাইনালে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন রিমন। মীরাক্কেলে সুযোগ পেতে ও অংশ নিতে রিমনকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘপথ। বণিক বার্তাকে সিলেটের স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান বলেন, ‘জার্নিটা সহজ ছিল না। বাংলাদেশ ও ভারতে অডিশনের বেশ কয়েকটা ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিতে হয়েছে।’
শুরুতে স্নায়বিক চাপে ভুগলেও মেন্টরদের সহযোগিতায় দ্রুতই তা কাটিয়ে ওঠেন বলে জানান রিমন। মীরাক্কেলের মঞ্চ থেকে কী শিখলেন জানতে চাইলে বলেন, ‘এক কথায় বলব টিমওয়ার্ক। মীরাক্কেল আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে সবাই মিলে একত্রে কাজ করতে হয়। দলগত কাজে যেকোনো ক্ষেত্রে জয় নিশ্চিত।’
বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে মীরাক্কেল টিমের আন্তরিক ব্যবহারের কথা স্মরণ করে রিমন বলেন, ‘টিম মীরাক্কেল ও জি বাংলা বাংলাদেশকে অনেক সম্মান এবং শ্রদ্ধা করে। সবাই বাংলাদেশের মানুষের প্রতি খুব আন্তরিক। আমরা কলকাতায় যাওয়ার পর প্রথমেই বলা হয়েছিল বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশের মানুষকে তাচ্ছিল্য করে কোনো কৌতুক বলা যাবে না। এমন কিছু করতে নিষেধ করা হয়েছে, যাতে বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট পায়।’
মীরাক্কেলের শিক্ষা কাজে লাগিয়া এখন বাংলাদেশের মিডিয়া ও ইউটিউবে কাজ করবেন বলে জানান আবিদুল ইসলাম। এজন্য জি বাংলা কর্তৃপক্ষ, টিম মীরাক্কেল এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান রিমন।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় টেলিভিশন জি বাংলার প্রতিভা অন্বেষণ অনুষ্ঠান মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়। এ অনুষ্ঠানের পঞ্চম সিজন থেকে বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা অংশ নিতে শুরু করেন। সেবার ফারজানা সাগির শশী, মনিরুল ইসলাম চৌধুরী তুষারসহ বেশকিছু প্রতিযোগী অংশ নেন। সিক্স সিজনে অংশ নেন বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী। তার মধ্যে আবু হেনা রনি, আনওয়ারুল আলম সজল, জামিল হোসেন ফাইনালে ওঠেন। সে আসরে দর্শক ভোটে চ্যাম্পিয়ন হন নাটোরের সন্তান আবু হেনা রনি। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি আসরেই বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে আসছেন। ২৩ মে অনুষ্ঠিত হবে দশম আসরের গ্রান্ড ফাইনাল।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শুভঙ্কর চট্ট্যোপাধ্যায়। উপস্থাপনা করেন মীর আফসার আলী।