দেড়-দুই মাসের ভেতরে সিলেট হবে অন্যরকম এক নগরী: মেয়র আরিফ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৭:০৭ অপরাহ্ণ
সিলেটের উন্নয়নের ব্যাপারে কোনো দল নেই বলে মন্তব্যে করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমি একটা দলে বিশ্বাস করি, একটা আদর্শে বিশ্বাস করি, লালন করি। এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু নগরীর উন্নয়নে আমি সবার সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন দেড়-দুই মাসের ভেতরে সিলেট হবে অন্যরকম এক নগরী। আমরা পুরো শহরটাকে নতুন করে নান্দনিক রূপে সাজাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে বন্দর থেকে টিলাগড়সহ নগরীর বিভিন্ন রাস্তা কোর্ট পয়েন্ট-চৌহাট্টা সড়কের মতো হবে দৃষ্টিনন্দন। চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা পর্যন্ত রাস্তার বিভাজকে ভিন্নরকম গ্রিল স্থাপন করা হবে এবং দুপাশের ফুটপাতকে সুন্দর ওয়াকওয়ে রূপে গড়ে তুলা হবে। এ লক্ষ্যে কাজও অনেকদূর এগিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, চলমান এই উন্নয়নে আমাকে সবাই সহযোগিতা করছেন। আর এই উন্নয়নকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সকল মহলের সহযোগিতা থাকবে। আমার বিশ্বাস আমাদের এই উন্নয়ন কাজ শেষ হলে সিলেট শুধু বাংলাদেশের মধ্যে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন সিটির মতো সিলেট নগরীর হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় সিলেট নগরের চৌচাট্টাস্থ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে এসে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সিলেট নগরী সবার। সিলেটকে উন্নত, ডিজিটাল ও ব্যতিক্রমী নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ট্রাক টার্মিনাল বড় করে অন্যত্র নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও উন্নয়ন কাজ করে বড় করা হয়েছে। ছোট গাড়িগুলোর জন্য ইতোমধ্যে ৪টি জায়গা নির্ধারণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছি। আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, নাইওরপুলসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে নিয়ে আমাদের অন্যরকম পরিকল্পনা আছে। সিলেটের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সিলেটে সব সময় সবার মধ্য সম্প্রতি রয়েছে। সেটা ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই। এজন্য আমরা গর্বিত। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে পা রেখেছে। আর দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিলেট ব্যতিক্রম শহরে হবে সেটি সবাইকে দেখাতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা শহরে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় অবৈধ মাইক্রো স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিক-সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট এজাহায়নামীয় আসামি হিসেবে ২৮ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে অস্ত্রসহ যুবক আটকের ঘটনায় একটি, দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় একটি এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ৩ মামলার মধ্যে ১ টি মামলার বাদী সিসিকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেবপদ রায় আর বাকি ২ টি মামলার বাদী পুলিশ।