সিলেটে চিন্তায় ছিলো আওয়ামী লীগ: ‘সম্মান’ বাঁচালেন লুৎফুর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেটে ‘সম্মান’ বাঁচালেন লুৎফুর রহমান। কানাইঘাট পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী হয়ে তিনি মেয়র নির্বাচিত হলেন। বিদ্রোহীদের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ের পর মাত্র ১১০ ভোটের ব্যবধানে তিনি হলেন কানাইঘাটের মেয়র। এর আগেও তিনি এ পৌরসভায় মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। কানাইঘাটসহ সিলেটে এ নিয়ে তিনটি পৌরসভা নির্বাচিন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। কানাইঘাটেও লুৎফুর রহমানকে নিয়ে দু:চিন্তায় ছিলো আওয়ামী লীগ। তবে- শেষ মূহূর্তে হাসলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফুর রহমান।
প্রাপ্ত ফলাফলে জানা গেছে- ৩,৮১৭ ভোট পেয়ে লুৎফুর রহমান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র সোহেল আমীন পেয়েছেন ৩৭০৭ ভোট। এদিকে কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কানাইঘাটে শুরু হয়েছে বিজয় উল্লাস। কানাইঘাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র নিজাম উদ্দিন ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। তিনি বিগত নির্বাচনে লুৎফুর রহমানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার নৌকার প্রার্থী লুৎফুর রহমান তাকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হলেন।
কানাইঘাট এখনো গ্রামীন পৌর শহর। এ পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকা গ্রাম। ফলে ভোর হলেই জেগে ওঠে কানাইঘাট পৌরসভা। গতকাল ভোটের দিনেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সকাল হতেই ভোটাররা হন কেন্দ্রমুখী। বিশেষ করে দলবেধে নারীরা ভোট দিতে কেন্দ্রে যান। সকাল ৮টায় ভোট শুরুর সময় কানাইঘাট পৌর শহরে ৯টি ভোট কেন্দ্রের নারীদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যনীয়।
ভোটাররা জানিয়েছেন- পৌর নির্বাচনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। এলাকার উন্নয়নে অনেক হিসাব-নিকাশ রয়েছে। এ কারণে কানাইঘাটের প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিলো ভোটারের উপস্থিতি। স্থানীয় রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে থাকা এক নারী ভোটার জানান- ‘বাড়িতে কাজকর্ম আছে তাই সকাল সকাল ভোট দিতে আসছি। তাড়াতাড়ি ভোট দেয়া শেষে বাড়ি ফিরে গৃহস্থালির কাজ করবো। মাদ্রাসা কেন্দ্রেও ছিলো মহিলা ভোটারের উপস্থিতি। হুসনে আরা নামের এক মহিলা জানান- ফজরের নামাজের পর নাস্তা সেরে কেন্দ্রে এসেছি। ভোট দেয়া হয়ে গেলো কাজ শেষ। এরপর বাড়ি গিয়ে ঘরের কাজ করতো পারবো। এছাড়া- সকালের দিকে ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ স্বাভাবিক থাকে বলে জানান তিনি।
কানাইঘাট পৌরসভায় মোট ১৯ হাজার ৪২৭ ভোটার। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে মনে করেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। তারা বলেন- এ পৌরসভায় অনেক প্রবাসী রয়েছেন। এছাড়া চাকুরিজীবীরাও রয়েছেন। ফলে তারা এসে ভোট দিতে পারেননি। এছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট সম্পন্ন করতে সজাগ ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।