সিলেটে ভ্যানেটি ব্যাগে শিশুর লাশ : যে কারণে হত্যা করা হয় নবজাতকটিকে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জানুয়ারি ২০২১, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সিলেটের উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের পাশে বড়গাং নদী থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় জনতার কাছ থেকে খবর পেয়ে নদীতে ভাসমান একটি ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ওই শিশুর জন্মদাতাকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করেছে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। তদন্তে নেমে ওই নাবজাতককে হত্যার রহস্যও উদঘাটন করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৮ জানুয়ারি লাশ উদ্ধারের পর শিশুটির ময়না তদন্ত ও ডিএনএ টেষ্টের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এসময় ভ্যানেটি ব্যাগের ভিতরে টেইলারিং দোকানের একটি পুরনো স্লিপ পাওয়া যায়। ওই স্লিপ ধরে তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তে ওই নবজাতকে জন্মদাতা সন্ধান পায় পুলিশ এবং তাকে হত্যার কারণ জানতে পারে। এরপর নবজাতকের জন্মদাতা গোলাপ মিয়াকে শুক্রবার (২৯ জাুয়ারি) সন্ধ্যায় জৈন্তাপুর নিজপাট ইউনিয়নের নয়াবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জৈন্তাপুর থানা পুলিশ জানায়, বছর দুয়েক আগে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার গোলাপ মিয়া (২২) জৈন্তাপুর উপজেলার রহিমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে গোলাপ মিয়া স্ত্রী ও শালিকে নিয়ে নয়বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এসময় শালির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গোলাপ। এক পর্যায়ে শালি গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
গত ২৫ জানুয়ারি গোলাপ মিয়া শালিকে গোপন জায়গায় নিয়ে বাচ্চা প্রসব করান। এর পর বাচ্চাটিকে হত্যা করে নারীদের ব্যবহৃত একটি ভ্যানেটি ব্যাগে ভরে বড়গাং নদীতে ভাসিয়ে দেয়। বুধবার পুলিশ ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারের পর গোলাম মিয়া শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এব্যাপারে গোলাপ মিয়ার শাশুড়ি বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আজিজ আহমদ জানান, ব্যাগের ভিতরে থাকা দর্জির দোকানের স্লিপ’র মাধ্যমে তাৎক্ষনিক খোঁজাখুজি করে আমরা গোলাপ মিয়া আটক করেছি।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী বলেন, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবকাদে গোলাপ মিয়া হত্যার কথা স্বীকার করেছে।