শেষ পর্যন্ত মৌলভীবাজারেও পাওয়া গেল না সাহেদকে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০২০, ৭:১০ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা জালিয়াত চক্রের মূলহোতা ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম মৌলভীবাজারে অবস্থান করছে, এই তথ্যের ভিত্তিতে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিনব্যাপি নানান তৎপর ছিল শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা গুলোতে। সোমবার অভিযুক্ত সাহেদের ফোন ট্র্যাক করে তার খোঁজে নানা স্থানে তল্লাশি চালায় র্যাব ও পুলিশ বিশেষ টিম। শেষ পর্যন্ত সাহেদের কোনও খোঁজ পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গোয়েন্দাদের ধারণা ছিলো, সাহেদ মৌলভীবাজারের পাহাড়ি এলাকার হোটেল-রিসোর্টে অবস্থান করতে পারে। অথবা মৌলভীবাজার বা সিলেটের কোন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। সেই সূত্রে জেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিশেষ নজরদারি চালিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, সাহেদ এখানে আছেন এমন নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। যেহেতু সীমান্ত এলাকা তাই আমরা সতর্কতা অবলম্বন করেছি।
মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, সাহেদকে গ্রেফতারের জন্য মূলত অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। পুলিশ তাদের সহায়তা করছে। সোমবার বিকেল থেকে ভারতের ত্রিপুরাগামী কুলাউড়ার চাতলাপুর সীমান্ত পথে শমশেরনগর চৌমুহনী ও লাউয়াছড়া এলাকার ফুলবাড়িতে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
তবে সাহেদের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আহমেদ নোমান জাকি। তিনি বলেন, আমাদের টিম অভিযানে নেই। তবে র্যাবের হেড কোয়াটারের কোনো ইউনিট অভিযানে অংশ নিয়েছে।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো.ফারুক আহমেদ মঙ্গলবার বলেন, সাহেদ এখন মৌলভীবাজার জেলার ভেতরে আছে এমন সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। সীমান্ত এলাকার পুলিশকে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল সেক্টরের ৪৬ বিজিবির কর্নেল মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমরা সাহেদকে নিয়ে তেমন নির্দেশনা পাইনি। রাষ্ট্র যদি কোনও নির্দেশনা দেয় অবশ্যই আমরা অ্যাকশন নেবো। আমরা সব সময় তৎপর আছি, কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আমাদের চাতলাপুর ও কুরমা চেকপোস্ট ওই দুটি জায়গা ছাড়া বের হওয়ার পথ নেই। সেখানে আমাদের ২৪ ঘণ্টা ডিউটি থাকে। আমরা সব সময় তৎপর আছি।’