বড়লেখায় বাড়ি লকডাউন করতে গিয়ে জানা গেল রোগী সিলেটে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০২০, ১০:০৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি গ্রামে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির (২৮) বাড়ি লকডাউন করতে গিয়ে জানা যায় তিনি সিলেটে গিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে লকডাউনে যাওয়ার আগে খোঁজ নিতে গিয়ে এই রোগীর সিলেটে অবস্থান করার তথ্য পায় পুলিশ। পরে তাকে সিলেট থেকে এনে বাড়ি লকডাউন করা হয়। আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নে।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গেছে, করোনা শনাক্ত হওয়া যুবক সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় চাকরি করেন। তিনি গত ঈদে বাড়ি অাসেন। উপসর্গ থাকায় গত ৭ জুন তিনি বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১০ জুন পর্যন্ত ফলাফল পাননি। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। ১৫ জুন পর্যন্ত ফলাফল না আসায় তিনি ১৬ জুন মঙ্গলবার সকালে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। মঙ্গলবার দুপুরে আসা ফলাফলে জানা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। কিন্তু ততক্ষণে তিনি সিলেট শহরে পৌঁছে যান। এরপর যোগাযোগ করে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। যাওয়া অাসার পথে তিনি গণপরিবহন ব্যবহার করেন। বিকেল ৪টার দিকে প্রশাসন তার বাড়ি লকডাউন করে।
এসময় বড়লেখা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ মোহন দেবনাথ, স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও স্বাস্থ্যকর্মী শংকর দাস উপস্হিত ছিলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম বলেন, আক্রান্ত যুবক ছাতকে চাকরি করতেন। ঈদে বাড়ি আসেন। তার করোনা উপসর্গ ছিল। বাড়িতে আলাদা ছিলেন। তাই নমুনা পরীক্ষায় দেন। ৮ দিন পার হলেও রিপোর্ট না আসায় তিনি সুস্থ মনে করে কর্মস্থলে চলে যান। রিপোর্ট আসার পর তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। সিলেট পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তাকে বাড়িতে আনা হয়। প্রশাসন বাড়ি লকডাউন করেছেন। সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর রাখছি আমরা।
বড়লেখা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ মোহন দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই জনের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ অাসার পর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে থানায় জানানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন শেষে দ্বিতীয় ব্যক্তির বাড়িতে যাওয়ার আগে তথ্য আসে তিনি সিলেটে। কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পরে তার সাথে যোগাযোগ করে বাড়িতে আনা হয়। বিকেলে তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের দুজনসহ বড়লেখা উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে থেকে ৬ জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন।