শ্রীমঙ্গলে ‘মরুর গোলাপ’ নৈস্বর্গীক মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিয়েছে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুন ২০২০, ২:২৬ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সেন্ট মার্থাস হাই স্কুলের শিক্ষিকা দীপ্তি চক্রবর্তী শখের বশে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের এক কোণে লাগিয়েছিলেন ‘মরু গোলাপ’। পরম স্নেহ আর মমতা দিয়ে পরিচর্চা করেছেন গাছটির। এখন সেই গাছে নিজের সৌন্দর্য মেলে ধরেছে গোলাপ ফুলগুলো।
কালচে-মেরুন রঙের বাঁকানো পাপড়ি। গুচ্ছাকারে ফুল রয়েছে ছোট প্রজাতির এই গাছে। এভাবেই শোভা ছড়াচ্ছে মরু গোলাপ। যে কারো দৃষ্টিকে মুগ্ধ করে রাখে ‘মরু গোলাপ’। তবে গাছটি ক্ষুদ্রকার হওয়ায় অনেক সময় দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। ভালো করে দেখলে সেই সৌখিন ফুলের সৌন্দর্যে হৃদয় ভরে উঠে। এই প্রজাতির ফুলগুলো বহু রঙে বৈচিত্র্যপূর্ণ বলে এ ফুলের বাণিজ্যিক চাহিদাও রয়েছে।
শিক্ষিকা দীপ্তি চক্রবর্তী এ ফুল সম্পর্কে বলেন, এখন তো সারাদেশে লকডাউন চলছে। পরিবারের সাথে আমিও গৃহবন্দি। এমন সময় নিজের শখের গাছে ফুল ফুটতে দেখে আমি ভীষণভাবে আনন্দিত। অনেক যত্নের পর নিজের গাছে এমন ফুলগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। আসলে নিজের লাগানো গাছে ফুল ফোটানোর আনন্দটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
তিনি বলেন,‘এই ফুলটিকে বাংলায় মরু গোলাপ এবং ইংরেজিতে অ্যাডেনিয়াম বলে। এই ফুলের আদি নিবাস আফ্রিকার মরু অঞ্চলে। লাল, নীল গোলাপি, সাদা, হলদে হরেক রঙের হয়ে থাকে।’
বিচিত্র এ ফুল ফোটা নিয়ে দীপ্তি চক্রবর্তী বলেন, নিতান্ত শখের বসে বছর খানেক আগে এই ফুলটি সংগ্রহ করেছি। এ বছরই প্রথম ফুল ধরেছে। কমবেশি সারা বছরই ফুল ধরে। এই গাছের উচ্চতা হয়ে থাকে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার থেকে প্রায় দেড় মিটার। সময় পেলেই গাছটির পরিচর্যা করা, পানি দেয়া, টবের মাটিগুলো একটু নিড়িয়ে প্রাকৃতিক সার দেয়া এগুলো আমি যত্ন দিয়ে করি।
দীপ্তি বলেন, ‘মরু গোলাপ’ আমাদের দেশেও এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের মতো অ্যাপার্টমেন্ট কিংবা ফ্ল্যাটে, বারান্দার কোণে, ছাদ বাগানে কিংবা উদ্যানে এ গাছগুলো বেশি দেখা যায়, এফুল দেখতে অপূর্ব।