মৌলভীবাজারে সুদের টাকার জন্য বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২০, ৭:৪০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দাদন ব্যবসা জমমজমাট হয়ে উঠেছে। করোনার মধ্যেও এক শ্রেণীর ব্যক্তিরা সুদে টাকা দিচ্ছেন। আবার সুদের টাকার জন্য চাপও দিচ্ছেন। টাকা না দেওয়ায় সুদ ব্যবসায়ী জোরপূর্বক ঋণ নেওয়া ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ওই নির্যাতিত ব্যক্তিকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২০মে) উপজেলার মুন্সিবাজারর হরিশ্চরন এলাকায়।
জানা যায়, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের হরিশ্চরন গ্রামের গনু মিয়া এলাকার একজন পরিচিত দাদন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার অসহায় বিপদে পড়া মানুষজনকে টাকা সুদে ধার দেন। গত মাস খানেক আগে একই এলাকা সোহেল মিয়া বিপদে পড়ে ৮০ হাজার টাকা ধার নেন। ইতিমধ্যে ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন কিন্তু করোনার দুর্যোগকালীন বাকী ২০ হাজার টাকা ফেরত না দিতে পারেননি।
এতে করে দাদন ব্যবসায়ী গনু মিয়া ও তার ভাতিজা মারুফ মিয়া মিলে বুধবার সকালে সোহেল মিয়াকে বাড়ি হতে উঠিয়ে এনে নির্যাতন করেন টাকা দেওয়ার চাপ দেন। এমন সংবাদ এলাকায় জানাজানি হলে সাংবাদিকদের মাধ্যমে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ দুপুরে সংবাদ পেয়ে কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তোফজ্জল হোসেন নেতৃত্বে পুলিশ দাদন ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে নির্যাতিত সোহেল মিয়াকে উদ্ধার করে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গনু মিয়া একজন চিন্থিত দাদন ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে দাদনে টাকা নিয়ে যারা সময়মত পরিশোধ করতে পারে না তাদেরকে এভাবে নির্যাতন চালায়। লোক লজ্জার ভয়ে কেউ প্রকাশ করেন না। একইভাবে গাড়িচালক সোহেল মিয়াকে ধরে নিয়ে আটিকয়ে রেখে নির্যাতন করেছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়ে দাদন ব্যবসায়ীকে না পেলেও তার স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, সোহেল টাকা ধার নিয়েছিল। এর পর আর টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না বলে তাকে বাড়িতে আনা হয়েছিল। তবে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গনু মিয়া একজন পরিচিত দাদন ব্যবসায়ী।
কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, নির্যাতিত ঋণ গ্রহীতা গাড়িচালক সোহেল মিয়াকে উদ্ধার করে আপাতত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে সুস্থ হলে অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।