বড়লেখায় সন্ত্রাসী হামলায় স্কুল শিক্ষকসহ আহত ৫, আটক ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২০, ১০:২৫ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভুমি সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করে এক স্কুল শিক্ষকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে স্কুল শিক্ষক, তার মা-সহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের মুদৎপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত তিন আসামীকে রোববার বিকেলে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছে বলে সোমবার বিকেলে থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান।
আহতরা হলেন স্কুল শিক্ষক আছাদ আহমদ বাপ্পি (২৮), তার মা হেনা বেগম (৫০), মামী মিনা বেগম (৬০), মামাতো বোন সাফিয়া বেগম (৪০) প্রমুখ। ঘটনার রাতেই তাদেরকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সেখানে তিনজনের অবস্থার অবনতি ঘটায় তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, মুদৎপুর গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (২০), মৃত ফাতির আলীর ছেলে পচাই মিয়া (৪২) ও মৃত আনফর আলীর ছেলে মাতাব উদ্দিন (২৪)। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামীকে রোববার বিকেলে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছে।
জানা গেছে, আছাদ আহমদ বাপ্পি মুদৎপুর গ্রামে তার নানা বাড়িতে থাকেন। তিনি ঐ এলাকার একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সেখানে তার নানার বাড়ির সাথে একই গ্রামের জবরুল ইসলাম গংদের ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বাপ্পির সাথে জবরুলদের মনোমালিন্য হয়। এর জেরে শনিবার জবরুলের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় আছাদ আহমদ বাপ্পির নানা বাড়িতে গ্রেফতারকৃত ৩ জনসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
হামলাকারীরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে বাপ্পিকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। বাপ্পিকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তার মা হেনা বেগম, মামী মিনা বেগম ও মামাতো বোনো সাফিয়া বেগমকে তারা পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। রাতেই স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এখানে ৩ জনের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আহত সাফিয়া বেগম শনিবার রাতে থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে থানার উপ পরিদর্শক মো. আবু সাঈদ অভিযুক্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেন।
থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। এরপর মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার তাদের আদালতে পাঠানো হয়। বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।