জুড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে খামারে হামলা : দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ, পুলিশ গিয়ে উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ মে ২০২০, ৬:০২ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের নেতৃত্বে একটি খামারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ধাওয়া করে মোঈদ ফারুককে দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। শুক্রবার(১মে) রাত ১০ টায় উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ‘বন্ধু পোল্ট্রি ফার্ম’ মালিক দীনবন্ধু সেন অভিযোগ করেন, রাত ১০টায় খামারে হামলার খবর পেয়ে তিনি বাড়ী থেকে খামারে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুকের নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন লোক খামারে ভাংচুর করছেন। তিনি বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে ফারুক গালাগাল করেন ও তার বাড়ীঘর ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইতিপূর্বে জুড়ির ইউএনও কে হেনস্তা ও বাসায় গিয়ে আক্রমণের চেষ্ঠা করেছেন, যা জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় নিস্পত্তি হয়েছে।
খামারে হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে ছুটে গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ও হামলাকারীদের ধাওয়া করেন। জনতার ধাওয়া খেয়ে ফারুক সেখান থেকে পালিয়ে সঙ্গীয় হামলাকারী সাইদুলের বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানেও চেয়ারম্যানের সঙ্গীরা দীনবন্ধুর ব্যবসায়ীক অংশীদার ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শাহজাহানের উপর হামলা করে। খবর পেয়ে শতশত বিক্ষুব্ধ জনতা আবারও ধাওয়া করে ওই বাড়ীতে গিয়ে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঈদ ফারুক কর্তৃক মুরগীর খামারে হামলার খবর দ্রত ছড়িয়ে পড়লে হাজারো মানুষ সেখানে ভীড় করেন। ছুটে যান জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও আওয়ামী লীগ নেতা আনফর আলী। ঘন্টা খানেক প্রচেষ্টার পর বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুককে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। আহত মো. শাহজাহানকে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে খামার মালিক দীনবন্ধু সেন বলেন, আমার ব্যবসায়ীক অংশীদারদের সাথে পরামর্শক্রমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। চিকিৎসাধীন দীনবন্ধুর ব্যবসায়ীক অংশীদার শাহজাহান মোবাইল ফোনে জানান, তিনি সুস্থ হয়ে এসে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ খামারের গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমি তারাবীহি নামাজের পর খামারটি দেখতে যাই। তখন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা এ ঘটনা ঘটায়। আমার দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। পরে একজনের বাড়ীতে চা খেতে গেলে কয়েকজন লোক সেখানে জড়ো হয়ে বাড়ীতে ঢিল মারে। আমি তখন থানায় ফোন করলে পুলিশ সেখানে হাজির হয়।