কমলগঞ্জে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে হামলা : কলেজ ছাত্রী লাঞ্চিত, আহত ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মে ২০২০, ১০:৫১ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর গ্রামে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে সুশান্ত মালাকার ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করা হয় বলে আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সুশান্ত মালাকার বাদী হয়ে একই গ্রামের নৃপেন্দ্র মালাকার (৫২), বিকাশ মালাকার (৪২), প্রণয় মালাকার (২৫), নিবেদন মালাকার (৩০)সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
কমলগঞ্জ থানার দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা যায়, শ্রীনাথপুর গ্রামের সুশান্ত মালাকারের ভাতিজা সুজিত মালাকার ও নৃপেন্দ্র মালাকার মিলে শ্রীনাথপুর গ্রামের সুমন চৌধুরী ও মনোরঞ্জন মালাকারের পুকুর বর্গা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু প্রায়ই সুশান্ত মালাকারের ভাতিজা সুজিত মালাকারকে না জানিয়ে একা একা নৃপেন্দ্র মালাকার জোরপূর্বক মাছ ধরতেন। নৃপেন্দ্র মালাকারকে সুজিত মালাকার মাছ একা একা ধরার কারন জিজ্ঞাসা করলে সে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে আসত। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় নৃপেন্দ্র মালাকার গংরা দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে ধারালো দা, লোহার রড নিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরা শুরু করে।
তখন সুশান্ত মালাকারের ভাই অনন্ত মালাকার, কলেজ পড়–য়া মেয়ে স্মৃতি মালাকার ও ভাতিজা সুজিত মালাকার তাতে বাঁধা দিলে নৃপেন্দ্র মালাকার ও পরিবারের সদস্যরা মিলে তাদেরকে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে জখম করে। এ সময় নৃপেন্দ্র মালাকার তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে সুজিতকে প্রানে মারার জন্য মাথায় কোপ মারে। নৃপেন্দ্র মালাকারের ছেলে নিবেদন মালাকার সুশান্ত মালাকারের মেয়ে স্মৃতি মালাকারের কাপড়চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। প্রতিপক্ষের হামলায় এ সময় অনন্ত মালাকার, স্মৃতি মালাকার ও সুজিত মালাকার আহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অনন্ত মালাকার ও সুজিত মালাকারকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তাদেরকে মৌলভীবাজার সদর হাপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে হত্যাসহ জানমালের ক্ষতির হুমকি দেয় নৃপেন্দ্র মালাকার গংরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফজলে রাব্বী জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৃপেন্দ্র মালাকার হামলার কথা অস্বীকার করে জানান, আমরা তাদের উপর হামলা চালাইনি। তারাই আমাদেরকে হামলা করেছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।