জুড়ীতে দুই যুগ পর রাস্তা থেকে বাজার ওঠে গেল স্বস্থানে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২০, ৫:৫৩ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কামিনীগঞ্জ লামাবাজার প্রায় দুইযুগ পরে স্বস্থানে ফিরে গেলো। উপজেলা শহরের রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ বাজার বসায় লামাবাজারটি এদিন অবহেলিত ছিল।
অবশেষে জুড়ি উপজেলা প্রশাসন কামিনীগঞ্জ বাজারের রাস্তা ও ফুটপাতের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে নির্ধারিত স্থানে বাজার ফিরিয়ে নিলেন।
মৌলভীবাজারের জুড়ীর বৃহৎ বাজার কামিনীগঞ্জ লামাবাজার। ভারত থেকে আসা জুড়ী নদী ও তার শাখা কন্টিনালার তীরে গড়ে ওঠা শত বছরের পুরণো এ বাজারের অনেক নামডাক ছিল। সিলেট বিভাগসহ সারাদেশে বেশ পরিচিতিও রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ বাজারটির।
নদীপথে যোগাযোগের সুযোগ থাকায় এক সময় এ বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশাল আকারের শতশত নৌকাযোগে বণিকরা মালামাল নিয়ে এসে কেনাবেচা করা হতো। কালের আবর্তে নদী গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় নৌ চলাচল কমে গেছে। পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগ উন্নত হয়ে যান চলাচল শুরু হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে বাজার গড়ে উঠে। মার খেতে থাকে জুড়ীর ঐতিহ্যের বাহক সরকারি এ বাজারটি।
একদিকে উপজেলা শহরের ভবানীগঞ্জ বাজারে সড়ক ও জনপথের জায়গা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠে অবৈধ কাঁচা বাজার অন্যদিকে জাঙ্গিরাই ত্রিমোহনী, কামিনীগঞ্জ বাজারের শিশুপার্ক চত্বর ও ডাকঘর সড়ক এলাকার ফুটপাত ও সড়ক দখল করে অবৈধ ভাবে কাঁচা বাজার বসানো হয়। যার ফলে শহরে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে থাকত যানজট। ভোগান্তির শিকার হত বিদ্যালয়গামী হাজারো শিক্ষার্থী। অন্যদিকে বাজার ইজারাদাররা আর্থিক ক্ষতির শিকার হতেন।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ও করোনা ভাইরাসের কারণে জনসমাগম এড়াতে এগিয়ে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ অবস্থায় গত বুধবার আবারও তিনি অভিযানে নামেন। জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসের সরদার ও জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম রেজার সহযোগিতায় ফুটপাত ও রা¯তার সকল কাঁচা বাজার উচ্ছেদ করে নির্ধারিত বাজারে স্থানান্থর করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক বলেন, দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে থাকা ফুটপাত ও রাস্তার বাজার উচ্ছেদ করে নির্ধারিত স্থানে নিতে পেরেছি। সেখানে পরিবেশও ভালো, বাজারে কিছু ছাউনি আছে। আরো কিছু ছাউনি করে দেয়া হবে।