পবিত্র রাত্রিতে মসজিদে যেতে পারেননি : ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ এপ্রিল ২০২০, ৬:৫২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। তবুও সময়ে সময়ে করোনার বিস্তার বাড়তে থাকায় দেশের সকল মসজিদে জামায়াতে নামাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ‘ভাগ্য নির্ধারক’ রজনীতে ঘরে থেকেই ইবাদত করতে বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
আরবি শাবান মাসের ১৪ তম রাত মুসলিম উম্মাহ পবিত্র শবেবরাত পালন করেন। এ রাতকে কেউ কেউ ‘ভাগ্যনির্ধারক’ রজনীও বলেন। শাবান মাসের পনের তারিখের দিবাগত রাতটিতে এবার ভিন্ন চিত্র সিলেটে। বৃহস্পতিবার রাতে নিরব নি:শব্দে রাতটি পার করলো সিলেটবাসী।
বছর ঘুরে মুসলিম উম্মাহের মাঝে আবারও ফিরে আসে সেই রাতটি। তবে করোনাভাইরাসের কারনে সিলেটসহ সারা দেশে নামাজের প্রতি ওয়াক্তে মসজিদে ৫ জন মুসল্লি ও জুম্মার নামাজে ১০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা জারী করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে সিলেট শহরের মসজিদে কমে আসে মুসল্লির সংখ্যা। এর প্রভাব পড়ে শবে বরাতের রাতেও।
কাল শবে বরাতের রাতে সিলেটের মসজিদে মসজিদে ছিল না কোন জিকির-আযকার। নামাজেও মুসল্লি ছিলেন একেবারে কম। নগরীর দরগাহ মাজারের গেট বুধবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। শহরের পাড়ার মসজিদে ছিল না কোন জিকির, বিশেষ দোয়া কিংবা ওয়াজ মাহফিল।
কিন্তু সিলেটের মানুষ বসে ছিল না। এশার নামাজ পরে শহরের প্রায় প্রতিটি মসজিদ থেকে ইমামগণ দোয়া করেন। বাসায় বসে এই দোয়াতে শরিক হয়েছেন পুরুষলোকের পাশাপাশি বাসার মহিলারাও। এছাড়া বাসায় বসে ইবাদত করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
অনেকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বাসায় বসে দোয়া, দুরুদ পাঠ, নফল নামাজসহ বিভিন্ন ধরণের ইবাদত বন্দেগী করছেন। এবারে মানুষ মসজিদে যেতে পারেননি। তবে সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বাসায় বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছে।