কমলগঞ্জে জন প্রতিনিধিরা নীরব, ত্রাণ নেই এলাকায়
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ এপ্রিল ২০২০, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
করোনাভাইরাস কারণে সারা দেশের মতো মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৯ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার নানা পেশায় নিয়োজিত প্রায় ২০ হাজার মানুষ কর্মহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু এসব কর্মহীন মানুষের পাশে দুই তিনজন প্রতিনিধি ছাড়া কেউ নেই। সবাই নিরব। সরকারি ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় আছেন। যদিও সরকারিভাবে নগদ টাকাসহ প্রায় ২৩ টন জিআর চাল বরাদ্ধ হয়েছে। সেগুলো ২ হাজার ৩০০ পরিবারকে বিতরণ জন্য চেয়ারম্যানদের কাছে হস্তান্তর করেছে উপজেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পতনউষার, ইসলামপুর, মাধবপুর, কমলগঞ্জ সদর, আদমপুর, মুন্সিবাজার ও আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা হাত গুটিয়ে বাড়িতে বসে আছেন। ব্যক্তিগত ভাবে কোন সহযোগিতার হাত প্রসারিত করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু মাত্র সরকারি বরাদ্ধের ত্রাণ বিতরণ করেছেন। জন প্রতিনিধিদের নীরবতায় স্ব স্ব ইউনিয়নে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে সরকারের ত্রাণের অপেক্ষা না করে দরিদ্র রিক্সাচালক, সিএনজি, ঠেলাচালক ও দরিদ্র পরিবারকে ব্যক্তিগত ভাবে চাল, ডাল, লবন, সাবান, নগদ টাকা বিতরণ করেছেন রহিমপুরইউপি চেযারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদুরল, পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ ও শমসেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহেমদ। গত তিন দিন ধরে তারা ওয়ার্ডের তালিকা করে কর্মহীন লোকদের সহযোগিতা করছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, সরকারিভাবে তিন দফায় ২৩ টন চাল ও নগদ টাকা এসেছে। ইতিমধ্যে ৫০০ পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়েছে। বাকি ত্রাণ দ্রুত পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট জন প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন ব্যক্তি উদ্যোগ কিছু জন প্রতিনিধি ও প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি মনে করেন, সরকারি ত্রাণের আশা না করে দ্রুত ব্যক্তিগত পর্যায়ে মানুষকে সহযোগিতা করা দরকার।