কুলাউড়ায় ক্ষুদ্রঋণ গ্রহিতাদের কাছে করোনা’র চেয়ে বড় আতঙ্ক কিস্তি!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০২০, ৩:৪৪ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব ও ফজলে রাব্বী:
ভয়াবহ করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায় মারাত্মক ধ্বস নেমেছে।সারাদেশে যখন চলছে লক ডাউন তখনও বেসরকারি সংস্থার ঋণ প্রদানকারী সংস্থা অনেকটা নিরবে তাদের কিস্তি আদায়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহের শেষে কিস্তি তাদের দিতেই হবে। এনিয়ে বিপাকে পড়েছেন কুলাউড়া উপজেলার নিম্নআয়ের মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বাজারের ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্টানের মালিকরা বিভিন্ন এনজিও সংস্থার নিকট থেকে কিস্তি নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। গত এক সপ্তাহ পূর্ব পর্যন্ত তারা কিস্তি পরিশোধ করে ব্যবসা চালিয়ে গেছেন।
গত রোববার (২২ মার্চ) থেকে রাত ৮ টা থেকে ফার্মেসী আর খাবার হোটেল ছাড়া সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে ব্যবসা এখন বন্ধ হলেও কুলাউড়া উপজেলায় কর্মরত এনজিও সংস্থার কর্মচারীরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে কিস্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঅবস্থায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেও তাদের কাছ থেকে ছাড় পাচ্ছেন না।
কুলাউড়ার স্টেশন চৌমুহনীর পানের দোকানদার মো. শরীফ, ফলের দোকানদার চান্দু মিয়া, কাপড়ের দোকানদার রবিউল হোসেন, পানের দোকানদার সুফিয়ান মিয়া, সিরামিক ব্যবসায়ী ফুল মিয়া, ইসমাইল, মোবাইলের সরঞ্জাম ব্যবসায়ী অনিক, রাজু, দৌলতসহ একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষের এখন কাজ নেই। মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতা না থাকায় পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা যাচ্ছে না। আমরা টাকা দিবো কোথা থেকে। এনজিওরা কিস্তি আদায় করতে এসে দোকানের দরজায় দাড়িয়ে থাকে। আপাতত বেসরকারি সংস্থার ক্ষুদ্র ঋণের বিপরীতে কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। ইতিমধ্যে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়েছেন।
তবে এসব নির্দেশনা ও রাস্তবতা মানতে রাজি হচ্ছেন না এনজিও মাঠকর্মীরা। এরমধ্যে ব্র্যাক, আশা, গ্রামীণ শক্তি, হীড বাংলাদেশ এনজিওগুলো তাদের ঋণ আদায় অব্যাহত রেখেছে।
একজন মাঠকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমাদের এনজিও অফিস থেকে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি। আমাদের কাজ টাকা আদায় করা, আমাদের সেটা করতে হবে। নির্দেশনা আসলে বন্ধ করে দেবো
এবিষয়ে এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের কুলাউড়া শাখার ঋণ কর্মকর্তা সুজিত পাল জানান, আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতার প্রতি আমাদের সহযোগিতা থাকবে।