সিলেটে হত্যার পর মরদেহ ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে, মাটি গলে ভেসে উঠে লাশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২০, ৭:০১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
হত্যার পর মরদেহ গুম করতে ফেলা হয় নদীতে। মরদেহ ভেসে না উঠতে মাটিভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা বেধে দেওয়া হয়। কিন্তু মাটি গলে ভেসে উঠে চারদিন ধরে নিখোঁজ থাকা যথীন্দ্র কুমার দাসের মরদেহ।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা দাসপাড়ার গ্রামের বাসিয়া নদী থেকে হাতপা বাধা মরদেহটি ভেসে উঠে। চার কন্যা সন্তানের জনক যতীন্দ্র কুমার দাস (৫৫) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার টেংরা দাসপাড়া গ্রামের মৃত হরেন্দ্র কুমার দাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত রোববার (৮মার্চ) দিবাগত রাত ১১টায় যতিন্দ্র কুমার দাস বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি। পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে তাকে খোঁজাখুজি করলেও সাধারণ ডায়েরী করেননি থানায়।
বৃহস্পতিবার সকালে বাসিয়া নদীর পানিতে হাত-পা বাঁধা অবস্থা মরদেহ দেখতে পেয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা থানায় খবর দেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা যতীন্দ্র কুমার দাসকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মরদেহ গুম করতে নদীতে ফেলে দেয়।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, যতীন্দ্র কুমারকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহ গুম করতে প্লাটিকের দুটি বস্তায় মাটি ভরে নদীর মধ্যে বেধে ছেড়ে দেওয়া হয়। বস্তার মাটি গলে আজ মরদেহ ভেসে ওঠে।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাপসাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি, বলেন ওসি।