রাজনগরে মনু নদী খননে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মার্চ ২০২০, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের রাজনগরে এক ইউপি সদস্যের বিরোদ্ধে মনুনদী খননে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাটি বহণকারী গাড়ীর চালক ও শ্রমিকদের ভয়ভিতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এঘটনায় রবিবার (১ মার্চ) সকালে ওই ইউপি সদস্যের বিরোদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। তবে এব্যাপারে এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্য একে অপরকে দায়ী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের একামধু খেয়াঘাট এলাকাসহ মনুনদীর তারাপাশা ব্রিজ থেকে মনু ব্যারেজ পর্যন্ত ১১টি চর কাটিং ও অপসারণ কাজ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইজিপি টেন্ডারে ১২ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কার্যাদেশ পায় ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেবিআই-এলজেআই (জেভি)। গত ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই ১১ টি চরের প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার মাটিকাটা শেষ করতে সময় বেধে দেয়া হয়েছে তাদের। তবে এ পর্যন্ত মাত্র ২টি চরের মাটি কাটা ও অপসারণের কাজ শেষ হয়েছে। এসব মাটি নদীর দুইপাড়ের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ শক্তিশালী করণ ও বাঁধের নিকটবর্তী গর্ত, ডোবা, বরোপিট ও নীচু জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করার শর্ত দেয়া হয়েছে। তবে মাটি ভরাটের বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে স্থানীয় দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে। উভয়পক্ষই এব্যাপারে ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করে ওই প্রতিষ্ঠান মাটি বিক্রি করছে অভিযোগ করে সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি সদস্য শামছুল ইসলাম শফি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে ইউএনও’র নির্দেশে অভিযোগটি তদন্তে এসিল্যান্ড সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে সত্যতা পাননি।
এদিকে রবিবার ওই ইউপি সদস্য ও তার লোকজন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন এবং শ্রমিক ও মাটিবহনকারী গাড়ি চালকদের ভয়ভিতি দেখাচ্ছেন উল্ল্যেখ করে ইউএনও বরাবর পাল্টা অভিযোগ জমা দিয়েছেন এলাকাবাসী। রবিবার সকালে একামধু খেয়াঘাট এলাকায় ওই ইউপি সদস্যের বিরোদ্ধে মানববন্ধনও করেছেন তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হোসেন আহমদ, রাসেল মিয়া, মছব্বির মিয়া, জহির আলী প্রমুখ।
ইউপি সদস্য শামছুল ইসলাম শফির মুঠোফোনে (০১৭২০২২৫০৭৫) যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ ককরেন নি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ঊর্মি রায় বলেন, স্থানীয় মেম্বার লিখিত অভিযোগ করার পর এলাকারবাসীর সাথে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায় নি। বিনামূল্যে এলাকাবাসী ওই মাটি নিচু জমি ভরাট করার জন্য পেয়েছেন বলেও তারা জানিয়েছেন। ইউপি সদস্যের বিরোদ্ধে করা অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।