সিলেট বিভাগে ৫৫ ভাগ দম্পতি পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সারাদেশে বর্তমানে ৬২ ভাগ দম্পতি পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন ৫৫ ভাগ দম্পতি। দেশে গত ১০ বছরে সিজারিয়ান প্রসব ৮ থেকে ৩৩ ভাগে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে শতকরা ৮৪ ভাগ শিশু সিজারের মাধ্যমে প্রসব হয়।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট (নিপোর্ট)-এর উদ্যোগে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক এন্ড সার্ভে (বিডিএইচ এস) এর বিভাগীয় অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার বিকালে নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট সিলেট এর অডিটারিয়ামে অতিরিক্ত সচিব ও নিপোট-এর মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার সাহা’ র সভাপতিত্বে ও আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ সিলেট এর অধ্যক্ষ এমদাদুল হক খানের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার অতিরিক্ত সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অনেক বেশী। সার্ভে যে কোন পরিসংখ্যানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সার্ভে করা হয় অবস্থান তুলে ধরার জন্য। সেখান থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে আমাদেরকে কাংখিত লক্ষ্য অর্জনে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক এন্ড হেলথ সার্ভের ফলাফল গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে আগামী সার্ভেতে লক্ষ্য অর্জনে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. দেবপদ রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল হুদা খান, পরিবার পরিকল্পনা সিলেট বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান। মো. মিজানুর রহমানের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিডিএইচএস-এর ফলাফল তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন নিপোর্ট-এর মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ আহছানুল আলম ও উর্ধ্বতন গবেষনা সহযোগী শাহীন সুলতানা। এসময় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইউএসএ আইসিএফ কনসালটেন্ট ড. আহমদ আল সাবির।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব ও নিপোট-এর মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার সাহা বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্য আমাদের অনুপ্রানিত করে, স্বাস্থ্যেক্ষেত্রে বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন আমাদের কর্মক্ষেত্রে স্পৃহা জন্মায়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়ন করে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।