শত বছর পরেও সমস্যার শেষ নেই সিলেট রেল স্টেশনে!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:২৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
প্রতিষ্ঠার শত বছর পার হয়ে গেলেও এখনও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সিলেট রেলওয়ে স্টেশন। ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে প্রতিদিন ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করলেও বর্তমানে ইঞ্জিন সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে সিলেট-চট্টগ্রাম রোডের মেইল ট্রেন জালালাবাদ এক্সপ্রেস।
যাত্রীদের অভিযোগ, সিলেট স্টেশনে পাওয়া যায় না টিকিট।নেই নতুন ট্রেন, তার মধ্যে জরাজীর্ণ রেল লাইন।
যাত্রীদের এসব সব অভিযোগ স্বীকার করে সিলেট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকিট সংকটের পাশাপাশি রয়েছে জনবল সংকট।
জানা যায়, আসামের চা রোপণকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৮৯১ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে বাংলার পূর্ব দিকে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু করে। ১৯১২-১৫ সালে কুলাউড়া ও সিলেট অঞ্চলে রেলওয়ে স্টেশন চালু হয়। শুরুর দিকে রেললাইন দিয়ে চা ও বিভিন্ন মালামাল বহন করতো ব্রিটিশরা। এরপর রেললাইন দিয়ে বাড়তে থাকে মানুষের যাতায়াত। ১৯৮৫ সালে যাত্রীদের যাতায়াত বাড়ায় ঢাকা-সিলেট চট্টগ্রাম রুটে চারটি ট্রেন সংযুক্ত করে তৎকালীন সরকার।
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সময় সিলেট রুটে সংযুক্ত করা হয় আরও দুটি ট্রেন। বর্তমান সময়ে প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে আন্তঃনগর ছয়টি ট্রেনে পাঁচ হাজারের মতো মানুষ চলাচল করলেও রয়েছে টিকিট সংকট।
যাত্রীদের অভিযোগ, পুরনো হয়ে গেছে ট্রেনের বগি। পাওয়া যায় না ক্যাবিন, চেয়ার কোচের টিকিট। অনেকে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্যও পান না ট্রেনের টিকিট। বগির টয়লেটে অনেক সময় পানির ব্যবস্থা থাকে না।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. খলিলুর রহমান জানান, পর্যটন নগরী সিলেটে যাত্রীদের পর্যাপ্ত টিকিট দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। যাত্রীদের তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা কম। চলাচল করা ট্রেনগুলিতে রয়েছে সিট ও বগির সমস্যা।
সিলেট স্টেশনে ১১৪ টি পদের মধ্য খালি রয়েছে ৬৯ টি পদ। তাছাড়া কর্মচারী-কর্মকর্তাদের রয়েছে আবাসন সমস্যা। বর্তমানে ইঞ্জিন সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে লোকাল মেইল ট্রেন জালালাবাদ এক্সপ্রেস।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠার শত বছর পার হয়ে গেলেও এখনও পরিপূর্ণতা পায়নি সিলেট রেলস্টেশন। বর্তমান সরকারের আমলে সড়ক জনপদের যে উন্নয়ন হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম উন্নয়ন হয়েছে রেলে।