শ্রীমঙ্গলের রাজঘাটে লাল শাপলার লেকে বসেছে পাখির মেলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৬:৩১ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
চা বাগানটির চারদিকে উঁচু টিলায় অপরুপ সুন্দর সবুজ চায়ের সমারোহ। টিলার মাঝখানে স্বচ্ছ জলের ধার। সেই লেকের নীল জলে ফুটে রয়েছে লাল শাপলা ফুল। পানিতে ভেসে রয়েছে কচুরি পানার স্তুপ। উচু টিলা থেকে জলাশয় পর্যন্ত নেমে এসেছে ধাপে ধাপে চায়ের গাছ। এটা যেন এক অনিন্দ প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য। সেই স্বচ্ছ জলাধারে বসেছে অতিথি পাখির মেলা। এমনিতেই চা বাগানে সবুজের অবারিত সৌন্দর্য্য, আর শীত মৌসুমে অতিথি পাখিদের আগমনে হয়ে ওঠেছে মনোমুগ্ধ পরিবেশ। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানের এ পরিবেশ যেকোন প্রকৃতি প্রেমিকে মুগ্ধ করবেই। শ্রীমঙ্গল চৌমুহনী থেকে রাজঘাট বাগানের দূরত্ব প্রায় ১৯-২০ কি:মি:।
বাগানটির চা কারখানা থেকে আধা কিলোমিটার এগোলে রাস্তার বাম পাশে নয়নাভিরাম এ জলাধার। সারাদিন পাখির কিচিরমিচির শব্দে নির্জন চা বাগানে এ এক অন্য রকমের পরিবেশ সৃষ্টি করে। বাগানের ভিতর দিয়ে রাস্তায় চলাচলকারী পথিকরা মনের আনন্দে উপভোগ করছেন পাখিদের জলকেলি। দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে পাখিপ্রেমিরা।
রাজঘাট চা বাগানের তিন টিলার মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে প্রায় ১০ একর আয়তনের এ জলাধারের সৃষ্টি হয়েছে। সেই জলাধারে ফুটেছে লাল শাপলা, আর কচুরিপানা। এই কচুরিপানা আর শাপলার পাতা-লতায় বসে আছে হাজার হাজার পাখি। তারা কখনো ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশে, কখনো উঠে এসে খুনসুঁটি করছে জলাশয়ের নীল জলে। জলাশয় ঘিরে হাজার পাখির কুঞ্জনে এক মধুময় আবহ বিরাজ করছে। সকাল হলেই পাখিরা উঠে যায় খাবার সন্ধানে। আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই পাখিরা আশ্রয় নেয় এ লেকে।
বাংলাদেশ বার্ডক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইনাম আল হক বলেন, সরালী হাঁস শীতের সময় জলাশয়গুলোতে আশ্রয় নেয়। আর গরম পড়লে পাখিগুলো চলে যায়। যেহেতু চা বাগান আনেকটা নিরব এলাকা সেখানে বাইরের লোক বেশি যেতে পারে না, তাই চা বাগানের লেক পাখিদের জন্য বেশি নিরাপদ। বাগান কর্তৃপক্ষকে এ পাখিদের নিরাপত্তার বিষয়ে নজর দিতে হবে তবে দিনদিন পাখির সংখ্যা বাড়বে।