যে পরিবারের অর্থায়নে সিলেট শহর ধন্য, সেখানে গিয়ে খেতে হল মার
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৪:০৭,অপরাহ্ন ১০ আগস্ট ২০১৯
কায়সারুল ইসলাম সুমন:
বৃটিশ বাংলাদেশী এই কিশোরের নাম ইমন। ইংরেজ ভূখণ্ডের মধ্যভূমি বার্মিংহামে তার পরিবারের চার প্রজন্মের বসবাস। এলেভেল পরীক্ষা শেষে শেকড়ের টানে গিয়েছিল বাংলাদেশে। ফিরতে হবে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বিলেতে। ছাত্রলীগ নামধারী গুন্ডার গায়ে পড়ে তাদের সাথে ঝগড়া শুরু করে। তার সাথে থাকা গাড়ি ভাংচূর করে দুই চাচাতো ভাই সহ তিনজনকে (যুক্তরাজ্য প্রবাসী)বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।
এই কাপুরুষেরা তোমরা কি জানো ? এই প্রবাসী পরিবারের অর্থায়নে সিলেট শহর ধন্য হয়েছে। বার্মিংহাম ও ওল্ডহামে সোনালী সুপারমার্কেট নামে তিনটি বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। যেখানে শত বাঙ্গলীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। নাহিয়ানের পিতা শেখ মোহাম্মদ গয়াস উদ্দিন Hope International নামে একটি চ্যারিটী সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের হতদরিদ্র মানুষকে সারাবছর সাহায্য করেন।
সিলেটের বালুচরে তাদেরই পিতামহ মরহুম শেখ মনির উদ্দিন জমি দান করে নিজের অর্থায়নে রাস্তা করেছিলেন। এলাকাবাসী সেই মহৎ মানুষটির নাম রাস্তাটির নামকরন করে শেখ মনির উদ্দিন সড়ক। পুরো পরিবারের মানুষগুলো যে কত ভদ্র এবং নম্র তা এই নগরে অতুলনীয়।
কলেজ ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া এই তিন বৃটিশ বাংলাদেশী কিশোরের উপর অমানবিক কাপুরুষোচিত আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাথে সাথে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এসব ত্রিশ চল্লিশ জনের কূলাঙ্গারকে কাপুরুষোচিত আচরনের জন্য বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
সুরমা নিউজের কোন সংবাদ, ছবি বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা যাবে না। করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে