সিলেটে পুলিশের সোর্স ছিনতাইকারী সজলসহ গ্রেফতার চার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০১৯, ৯:২৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
অবশেষে পুলিশের খাঁচায় বন্দি হলো পুলিশের সোর্স ছিনতাইকারী সজল ও তার তিন সঙ্গী। ধৃত সজল মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ৬টি মামলার অভিযুক্ত আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার (৬জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জেদান আল মুসা।
পুলিশের হাতে আটক হওয়া ফের জামিনে বেরিয়ে এসে কালো ধান্ধায় সম্পৃক্ত হওয়া তার পেশা।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার শান্তিপুরের আবদুল কাদিরের ছেলে সজলের পুরো নাম কামরান আহমদ সজল। কখনো লামাপাড়া, কখনো হাতিমবাগ কিংবা সাদিপুরে ভাড়াটে বাসায় বসবাস। শিবগঞ্জ-টিলাগড় কেন্দ্রীক একটি গ্যাং গড়ে উঠেছে সজলের।
হেলিম আহমদ নামের আরেক ছিনতাইকারী সজলের বড় ভাই উজ্জ্বলের বন্ধু। তাদের রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
শাহপরাণ থানার সাবেক কর্মকর্তা বর্তমানে কোতোয়ালি থানায় কর্মরত এক পুলিশ কর্তার সোর্স সজল ও তার গ্যাং। হেলিমও রয়েছে সেই সোর্স কমিটিতে।
পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (৫জুলাই) রাত ১২টার দিকে নগরীর কোর্টপয়েন্ট এলাকা থেকে ছিনতাই করে পালিয়ে যায় ধৃত সজল ও তার ৩ সঙ্গী। পরে সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অনুপ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় এই ছিনতাইকারী চক্রকে রায়নগর মিতালী রাজবাড়ী এলাকা থেকে।
এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে ২টি ধারালো চাকু ও সিএনজি অটোরিকশা জব্ধ করা হয়।
আটককৃত বাকি ৩ ছিনতাইকারী হলেন, নগরীর সোনারপাড়া এলাকার নবারুন-১৬২/১ এর বাসিন্দা রমজান মিয়ার ছেলে মো. ইমরান আহমদ ইমন, সুনামগঞ্জ দোয়াবাজার উপজেলার বাশতলার বাসিন্দা বর্তমানে শহরতলীর খাদিম বাহুবল বিরতি-১ এর ভাড়াটে সিরাজ আহমদের ছেলে মো. জাকির মিয়া, টিলাগড় সুরভী-১২ রাজপাড়ার বাসিন্দা সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. জুনেদ আহমদ।
পুলিশ জানায়, ইমরান আহমদ ইমন এসএমপি এর শাহপরাণ (রঃ) থানার ৩টি, মো. জাকির কোতয়ালী মডেল থানার ১টি ও শাহপরান (রহঃ) থানার ১টি ও মো. জুনেদ আহমদ শাহপরাণ (রঃ) থানার ২টি মামলার অভিযুক্ত আসামী।